কী বললেন মানস?
জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠান থেকে মানস বলেন, ‘সরকারি অফিসগুলিতে অনেক জায়গায় কো-অর্ডিনেশন কমিটি ঘিরে রেখেছে।’ তাঁর কথায়, কৃষি, বিএলআরও, বিডিও অফিসগুলিতে এরকম অনেক কর্মচারী রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে নজর রাখুন। তালিকা তৈরি করুন। এরা কারা?’ এরাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে বলে মত তাঁর।
সরকারি কর্মচারীদের একাংশকে নিশানা
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কনভেনশন থেকেই এদিন হুঁশিয়ারি দেন মানস। জলপাইগুড়ি শহরের আর্ট কমপ্লেক্সে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বাম সমর্থিত ফেডারেশনকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, বর্তমান রাজ্য সরকার একাধিক জনহিতকর প্রকল্প চালু করে থাকলেও সাধারণ মানুষকে মিথ্যা প্রচার বা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অনেক সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে লাগাতার ধরনা কর্মসূচি চালিয়ে এসেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপরেও আন্দোলনে নাছোড়বান্দা সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয় এই ডিএ বৃদ্ধি আদতে ‘ভিক্ষার দান’।
আগামী ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী মঞ্চ। এখানেই শেষ নয়, মহার্ঘ্য ভাতা ইস্যুতে লাগাতার রাজ্য জুড়ে জনসংযোগ যাত্রা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা। মহার্ঘ্য ভাতা কেন্দ্রীয় সরকারের সমান স্তরে করার লক্ষ্যে তাঁরা যে কোনও ভাবেই পিছপা হবেন না সেটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে এর মাঝেই সরকারি কর্মচারীদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মচারীদের একাংশের এই আন্দোলনকে কাজে লাগাতে চাইছে বিরোধী শিবিরও। নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানে সিপিএম, বিজেপির একের পর এক নেতাকে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে উদ্ধত বিরোধীরাও।