সোমবার বড়দিনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে চিতাবাঘের এনক্লোজারে। তিন পুরুষ সঙ্গীর সংস্পর্শে এসে রিমঝিম ও গরিমার নিঃসঙ্গতা কাটবে বলে আশাবাদী বনকর্তারা। কোচবিহার বনবিভাগের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, ‘এতদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তিনটি চিতাবাঘকে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের তাদের বাকি দুই মাদি চিতাবাঘের সঙ্গে এনক্লোজারে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
হালে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নববর্ষের আগে তিন নতুন অতিথিকে আনা হয়েছে রসিকবিলে। এডিএফও বলেন, ‘রসিকবিলে অন্যতম আকর্ষণ চিতাবাঘ৷ তাই ঝাড়গ্রাম মিনি জু থেকে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আপাতত তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।’
কোচবিহারের রসিকবিলে মূলত পর্যটকরা আসেন পরিযায়ী পাখিদের টানে৷ হরেক প্রজাতির পাখির দেখা মেলে রসিকবিলের ঝিলে। সঙ্গে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এনক্লোজারে থাকা চিতাবাঘও। এখন তাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ওই চিতাবাঘের এনক্লোজার আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তিন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গলাভের সুযোগ পেলেও রিমঝিম ও গরিমা কখনই সন্তান ধারন করতে পারবে না।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্যবনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘রাজ্যের যে কোনও চিড়িয়াখানা অথবা পর্যটন কেন্দ্রে থাকা বন্যপ্রাণীদের ক্ষেত্রে আমরা এনটিসিএ-র গাইড লাইন মানতে বাধ্য। সেন্ট্রাল জু অথরিটির নির্দেশ মেনে ক্যাপটিভ ব্রিডিং করাতে পারে না বনদপ্তর। রসিকবিল তার ব্যতিক্রম নয়। ফলে আপাতত রিমঝিম ও গরিমা পুরুষ সঙ্গীদের কাছে পেলেও প্রজননের কোনও সুযোগ থাকছে না। বন্দি দশায় প্রজনন করাতে হলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়।’