পরিসংখ্যান বলছে, এদিন চিড়িয়াখানায় পা রেখেছিলেন ৭০ হাজার মানুষ। সেখানে ইকো পার্কে সবমিলিয়ে টিকিট কেটেছেন ৫২ হাজার ৫১৩ জন। যদিও ইকো পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হিডকোর এক কর্তার দাবি, ‘আজ তো লিগের ম্যাচ। সেমি ফাইনাল-ফাইনালের মুকুট আমাদের মাথাতেই উঠবে।’ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছেন, ‘সকাল দেখেই সারাটা দিন কেমন যাবে সেটা বোঝা যায়। এদিনের ভিড়ই বলে দিচ্ছে আগামীদিনেও বাজিমাত আমরাই করব।’
পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর ছিল রবিবার। সেদিন ইকো পার্কে এসেছিলেন ৯১১৩৬ জন। চিড়িয়াখানার টিকিট কেটেছিলেন ৮৭৩৭৩ জন। ৩১ ডিসেম্বর ইকো পার্কে ৩৮৬৫৫ জন এবং চিড়িয়াখানায় ৩৩২৩১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারিতেও ভিড়ের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ইকো পার্ক(১,২৮,৭৬০) জন। সেখানে ওই দিন চিড়িয়াখানায় টিকিট কেটেছিলেন ৯০৯২৭ জন। হিডকোর এক কর্তার বক্তব্য, ‘ইকো পার্ক দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেকে উৎসবের দিনগুলিতে আমরাই ভিড়ের নিরিখে এক নম্বরে থেকেছি। এর প্রধান কারণ, ইকো পার্কের মধ্যে থাকা ইকো ডুয়ো সাইকেল, ট্রাই সাইকেল, টয় ট্রেন প্যাডেল বোট, ওয়াটার জবলিং। যা ছোটদের ভীষণ পছন্দের। তাছাড়া প্রতি বছরই দর্শকদের কথা মাথায় রেখে নতুন-নতুন জিনিস চালু করা হয়।’
সেখানে চিড়িয়াখানায় গত কয়েকবছরে নতুন করে সেভাবে কোনও প্রাণী আনা হয়নি। তবুও কেন ভিড়? চিড়িয়াখানর অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন,‘দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অনেক নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। দর্শকরা যাতে ভালো করে বাঘ-সহ অন্য প্রাণীদের দেখতে পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, চিড়িয়াখানার মধ্যে একটা আবেগ রয়েছে আট থেকে আশির। এটা তারই সুফল।’
এদিন সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, ইকো পার্কের পাশাপাশি মানুষের ঢল নামতে শুরু করে নিউ টাউনের এয়ার ক্র্যাফট মিউজিয়াম, অ্যাকোয়াটিকা ওয়াটার পার্ক এবং সল্টলেকের নিক্কো পার্ক, জাদুঘর, সায়েন্সসিটিতে। পাশাপাশি নিউ টাউনে চলা সরস মেলা, দমদমের বইমেলাতেও সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে শুধু পার্ক কিংবা মেলায় নয়, শহরের রেস্তরাঁগুলিতেও এদিন সন্ধের পর লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।