Bandel Church : ক্রিসমাসে সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ, বড়দিনের সপ্তাহে ঢুকতে পারবেন পর্যটকরা? – bandel church all preparation and norms on 25th december charismas 2023


দেশ তথা গোটা বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে। ছবিটা ব্যতিক্রম নয় কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও। এই উপলক্ষে সেজে ওঠে বিভিন্ন গির্জাগুলি। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গির্জা ব্যান্ডেল চার্চ। ১৫৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চার্চটি বছরের পর বছর ধরে মানুষের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। তাই সারাবছরই ভিড় লেগে থাকে ব্যান্ডেল চার্চে। আর বড়দিন তথা ক্রিসমাসের সময় এই ভিড় আরও অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সময় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয় গোটা ব্যান্ডেল চার্চজুড়ে। পাশাপাশি থাকছে আরও ব্যবস্থা। সম্প্রতি এই বিষয়ে এক বৈঠকেরও আয়োজিত হয়েছে।

বড়দিনের সপ্তাহে খোলা থাকবে চার্চ?
ব্যান্ডেল চার্চের ইনচার্জ ফাদার জনি বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে চার্চের সামনে যে গোশালা তৈরি করা হয়, তা প্রতিদিনই খোলা থাকবে। গির্জা খোলা থাকে ৮টা থেকে ৪টে ৫০ পর্যন্ত। সেভাবে গোশালাও খোলা থাকবে প্রতিদিনই। ২৫ তারিখ (বড়দিন) ও ১ তারিখও (নতুন বছরের প্রথম দিন) গোশালা খোলা থাকবে। তবে এই ২ দিন গির্জা, ক্যাম্পাস, মাস্তুল, ছোট গির্জা, বন্ধ থাকবে। ভিড়ের কারণে সেটা বন্ধ থাকবে।’

বাড়তি নিরাপত্তা
ক্রিসমাস উইকে প্রতিবারে মতো এবারের প্রচুর ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তার বিষয়েও বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। চার্চের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও, পুলিশ প্রশাসনের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। থাকছে সিসি ক্যমেরার নজরদারি। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও। এই সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য চার্চের তরফে রাখা হবে স্বেচ্ছাসেবকও। অন্যদিকে যে সমস্ত পর্যটকরা এই সময় ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে আসবেন, তাঁদের জন্য থাকছে বায়ো টয়লেট ও স্বাস্থ্য শিবিরও। স্থায়ী দোকান ছাড়াও, বড়দিন সময়ে চার্চের আশেপাশে বহু অস্থায়ী দোকানও বসে এই সময়। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের খাওয়াদাওয়ারও কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

Bethlehem Christmas : জনশূন্য চার্চ, নেই কেক-ক্রিসমাস ট্রি! বিষাদময় বড়দিনে থমথমে যিশুর জন্মস্থান
বিশেষ প্রার্থনা

প্রথা মাফিক বড়দিনের আগের রাতে গির্জায় গির্জায় হয়ে গিয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। ব্যান্ডেল চার্চে রাত দশটার আশেপাশে শুরু হয় ক্রিসমাস ক্যারোল। গির্জার সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষে শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা বা মিড নাইট মাস। বড় দিন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আলোয় আলোয় সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ। আলোয় সেজেছে গির্জা, ক্রিসমাস ট্রি। তৈরী হয়ে গিয়েছে গোশালা। প্রভু যীশুর জন্ম বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। বিশেষ প্রার্থনায় উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অমিত পি জাভালগি, ডিসি ঈশানী পাল, এসিপি মৌমিতা দাস ঘোষ-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *