এখন তাঁরাও প্যাকেজিংয়ে বদল আনছেন জানিয়ে বলেন, ‘এতে অবশ্য দাম একটু বেশি পড়ছে, তবে হাল ছাড়িনি আমরা। এই ব্যবসার আসল সময় মূলত সাত দিনের। তখন আমাদের বেকারিতে আড়াই থেকে তিন হাজার পাউন্ড কেক তৈরি হয়। তার পুরোটাই বিক্রি হয়ে যায়।’
বর্ধমান শহরে বর্তমানে ৮টি বেকারি রয়েছে। বছরভর সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট তৈরি হয়। তৈরি হয় স্বল্প পরিমাণে কেক। তবে প্রতি বছর বড়দিন থেকে থার্টিফার্স্টের দিনটিকে মাথায় রেখে বেকারিগুলোয় বেশি পরিমাণে কেক তৈরি হয় ১৭ তারিখ থেকে। ২৩ তারিখ থেকে চাহিদা বাড়ে কেকের।
লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার বেকারি ব্যবসায়ী মানিক মল্লিক বলেন, ‘সারাবছর ধরে বিস্কুট তৈরি হয় আমাদের বেকারিতে। তিন জন কর্মচারী রয়েছেন। তবে কেকের সিজনে চার-পাঁচ জন বাড়তি লোক নিতে হয়। প্রতিবার আমরা দুই থেকে আড়াই হাজার পাউন্ড কেক বিক্রি করি।’ বেকারি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রতি পাউন্ড ভালো মানের কেকের দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
তবে বিভিন্ন বেকারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কেক তৈরির উপকরণ যেমন বাটার, ময়দা, চিনি, দুধের মতো সামগ্রী নগদে কিনতে হয় বেকারি মালিকদের। আবার কেক তৈরির পর তার লেনদেন হয় ধারে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, দোকান মালিকরা সব কেক বিক্রি করতে না পেরে ফেরত দেন।
মেমারির এক বেকারি মালিক বলেন, ‘আমাদের তৈরি কেক মেমারি ছাড়াও বিক্রি হয় বর্ধমানেও। সমস্যা হচ্ছে, সব কাঁচামাল আমাদের নগদে কিনে বিক্রি করতে হয় ধারে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আনতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। তখন অনেকেই কেক ফেরত দিয়ে দেন। বহু সময়ে তাতে লোকসান হয়।’
ব্যবসায় ধার-বাকির হিসেব মাথায় রেখে উৎপাদন হলেও কিছু ক্ষেত্রে তা কাজে আসে না। ভাতারের ওড়গ্রাম, আউশগ্রামের মতো এলাকায় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বেকারি।