চলতি বছর অগাস্ট মাসে লটারি কেটেছিলেন হোটেল কর্মী আদিত্য মণ্ডল। তিনি বীরভূমের সাঁইথিয়ার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঠেলায় করে খাবার বিক্রি করতেন তিনি। অভাবের সংসারের হাল ফেরাতে নিয়মিত কাটতেন লটারি। আর তারই সুবাদে পেয়েছিলেন কড়কড়ে এক কোটি টাকা।
কিন্তু, অনেক সময় দেখা যায়, লটারি পেয়েও সেই অর্থ সামলে রাখতে পারেন না অনেকেই। হয় লটারি বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে সেই টাকা তারা ব্যয় করে দেন। আদিত্য মণ্ডল এক কোটির লটারি বাবদ টাকা দিয়ে ঠিক কী করলেন? কতটা বদলাল তাঁর জীবন?
এই প্রসঙ্গে তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘লটারি পাওয়ার পর অবশ্যই জীবন অনেকটাই বদলেছে। এখনও দোকানটা চালাই। তবে বুকে অনেকটা বল পেয়েছি। আমার সন্তানদের পড়াশোনা শেখাতে পেরেছি। আর্থিক স্বাচ্ছন্দের মুখ দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি লটারি এখনও কাটি, তবে অনেকটা মেপে। কারণ আমার মনে হয় সেখান থেকে আমি টাকা রোজগার করতে পারব। তবে আমি নেশাগ্রস্ত নই কোনওভাবেই।’
উল্লেখ্য, বীরভূমের সাঁইথিয়া ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আদিত্য মণ্ডল। এলাকার মানুষ তাঁকে গোলাপ বলেই চেনেন। দীর্ঘদিন ধরে হোটেলে কাজ করতেন তিনি। কখনও সখনও ঠেলাগাড়ি নিয়ে রাস্তার ধারে খাবারের দোকান দিয়ে থাকেন। কর্মব্যস্ত জীবনে লটারি টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল তাঁর।
কখনও পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার আবার কখনও পেয়েছিলেন ৯০ হাজার। কিন্তু, কোটি টাকার লটারি পাওয়ার কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবতেন না। তবে কথাতেই রয়েছে, ঈশ্বর যখন সহায় হয় তখন আর দেখে কে। ঠিক তেমনই আগস্ট মাসে লটারির টিকিট কেটে এক কোটি টাকার জ্যাকপট পান গোলাপ। সেই সময় ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন হোটেলের কাজ ছেড়ে নিজের কোনও ব্যবসা করার।
আপাতত তিনি নিজের খাবারের দোকানের ব্যবসাকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। আর লটারিতে পাওয়া মোটা টাকার ব্যবহারও করছেন সচেতনভাবে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে সেই টাকা নিমেষে উড়িয়ে দিতে নারাজ তিনি। ধীরে ধীরে গঠনমূলক কাজে তা ব্যবহার করতে চান এই ‘কোটিপতি’। তবে কোনওভাবেই লটারি কাটার অভ্যেস যে তিনি ত্যাগ করতে পারেননি, তাও স্পষ্টই জানান।