Digha Beach Hotels : ক্রিসমাস উইকে দিঘায় যাচ্ছেন? হোটেলগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই – huge number of tourists in digha during christmas week and hotels are fully booked


ক্রিসমাস উইক চলছে। একেবারে উৎসবের মেজাজে রয়েছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দিঘার সমুদ্র পাড়ে উপচে পড়ল পর্যটকদের ভিড়। আর শুধু দিঘা নয়, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ সমুদ্র সৈকতের সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও থিকথিকে পর্যটক। উৎসবের মরশুমে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না তার জন্য সতা সতর্ক রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।

শনি-রবি ও সোমবার বড়দিনের ছুটি পাওয়ায় আগেভাগেই ছোট ট্যুরের প্ল্যান করে ফেলেন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। সেই মতো শুক্রবার রাত থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে সৈকত নগরীতে। শনিবার সকাল থেকে তা জনস্রোতের রূপ নেয়। আর শুধু তাই নয়, অনেকে আবার বড়দিন থেকেই শুরু করেন ট্যুর। ফলে এদিনও বিভিন্ন হোটেলে ছিল চেক-ইন করার লম্বা লাইন। সকাল থেকেই সমুদ্র স্নানের আনন্দ নিতে সাগরে ঢেউয়ে গা ভাসান পর্যটকরা৷ পার্শ্ববর্তী মন্দারমণি বা তাজপুরে মতো বিচগুলিতেও চোখে পড়ে একই ছবি।

এদিকে উৎসবের মরশমে যেহেতু এত মানুষের ভিড়, তাই যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় তার জন্য কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পুলিশের তরফে যেমন নজরদারি চলছে,তেমনি নুলিয়ারাও সৈকতে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন৷ পর্যটকরা যাতে সতর্কভাবে সমুদ্রে স্নান করেন সেই বিষয়ে বারেবারেই প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হচ্ছে।

নতুন করে করোনার আশঙ্কা ভয়ের সৃষ্টি করেছিল দিঘার ব্যবসায়ীদের একাংশের মনে। তবে ক্রিসমাসের এই সপ্তাহে পর্যটকদের বিপুল ভিড় তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। যেহেতু বড়দিনেও প্রচুর মানুষ হোটেলে চেক-ইন করছেনস তাই ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নতুন বঠরের শুরু পর্যন্ত এই ভিড় জারি থাকবে।

তবে শুধু দিঘাই নয়, মাইথন, গড়চুমুক-সহ রাজ্যের অন্যান্য শর্ট ট্রিপ ডেস্টিনেশনগুলিতেও পর্যটকদের ঢল। ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাইথন জলাধারে বেড়াতে গেলেন পর্যটকদের। পাশাপাশি ছিল পাকনিক পার্টির ভিড়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও পর্যটকদের আগমন ঘটে এদিন। পর্যটকরা সবুজ প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের মাঝে থাকা মাইথন জলাধারে নৌকাবিহারেও মেতে ওঠে।

এদিকে দিনকয়েক আগেই খলেছে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক মিনি জু। আর তারপরেই বড়দিনের ছুটি। স্বভাবতই এদিন মিনি জু-তে পর্যটকদের ভিড় ছিল নজর কাড়া। এদিন সকাল থেকেই মিনি জু-এ ঢোকার জন্য পর্যটকদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়। তবে বড়দের চেয়ে শিশুদের উৎসাহ ছিল অনেকটাই বেশি। মিনি জু-এ মধ্যে পাখির পাশাপাশি রক পাইথন, এমু, সজারু, কুমির বাঘোরোলের খাচার সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়। বনদফতর সূত্রে খবর, এদিন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মিনি জু-এ আসেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *