পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করেছে। মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুপ্রতীক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সেজন্য মেডিক্যাল কলেজের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন আগে ভগবানগোলার রামকান্তপুর এলাকার বাসিন্দা সাবিনা বিবি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি হন। শনিবার সকালে সিজার করে তাঁর পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে এসএনসিইউতে রাখা হয়।
রাতে হাসপাতাল থেকে ফোনে প্রসূতির পরিবারকে জানানো হয়, সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। গন্ডগোল বাঁধে সদ্যোজাতের দেহ নেওয়ার সময়ে। প্রসবের সময়ে মা ও সন্তানের হাতে ২০০ নম্বর টোকেন লাগানো হয়। কিন্তু রবিবার দেখা যায় মায়ের হাতে ২৯৫ নম্বরের টোকেন।
ছেলের হাতে ২০০ নম্বরের টোকেন লাগানো রয়েছে। এরপরেই পরিবারের লোকেরা দাবি করেন, তাদের সন্তানকে বদল করা হয়েছে। হাসপাতালে নার্সদের লাগানো টোকেন নম্বর বদল হলো কী করে, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাবিনার পরিবার। তাদের সঙ্গে যো দেন অন্য রোগীর আত্মীয়রা।
পরিবারের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবিনার শাশুড়ি নার্গিসা বিবি বলেন, ‘শনিবার যখন সন্তান হয় সেই সময়ে মা ও শিশুর হাতে একই নম্বরের টোকেন লাগানো ছিল। রবিবার এসে দেখি দু’জনের হাতে আলাদা আলাদা নম্বর। আমাদের বাচ্চাকে বদল করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’