বীরভূমের নানুর বিধানসভার বোলপুর থানার অন্তর্গত যোজ্ঞনগর গ্রামের বাসিন্দা গাজু শেখ ও কুতুবা খাতুন একে অপরকে ভালোবাসতেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের বাবা-মা সেই সম্পর্কে রাজি ছিলেন না। তাই মেয়েকে বুঝিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেন তিনি। সেই বিয়েতে রাজিও ছিল মেয়ে। কিন্তু, বিয়ের সাত দিনের মাথায় মেয়ে বাবার বাড়িতে অষ্টমঙ্গলার জন্য আসেন।
আর সেই খবর পেয়ে প্রেমিক গাজু শেখ বড়দিনের দিন একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে মেয়ের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে থাকে। হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রেমিক গাজু শেখের গাড়িতে উঠে পড়েন প্রেমিকা। এদিকে মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে দেখে গাড়ির সামনে চলে আসেন প্রেমিকার বাবা-মা। অভিযোগ, তরুণীর বাবা কুদ্দুস শেখকে গাড়ির একেবারে সামনে দেখেও ব্রেক কষেননি গাজু। বরং তাঁর উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে প্রেমিকার বাবা।
স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখনও রাস্তার মধ্যে ওই প্রবীণের রক্ত লেগে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে যায় বোলপুর থানার পুলিশ। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ, জোর করে কুতুবাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এদিকে কুতুবার নতুন বরকে বিপদের সময় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।
ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় গাজুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। এই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই গাড়িটিকে খুঁজে বার করার চেষ্টাও করা হচ্ছে।
