বিবেকানন্দ ‘অস্ত্রে’ শান! শাহি সফরের দিনে পথে তৃণমূল যুব কংগ্রেস.. TMC rally in kolkata During Amit Shah visit


প্রবীর চক্রবর্তী: হাতে বিবেকানন্দের ছবি আর ফুটবল! শাহি সফরের দিনেই কলকাতায় পথে নামল যুব তৃণমূল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে মিছিলে হাঁটলেন শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব দলের নেতারা।

আরও পড়ুন:  Amit Shah: টার্গেট বাংলা, লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী কমিটি বেছে দিলেন শাহ…

এদিন শ্য়ামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সভাপতি সায়নী ঘোষ বলেন, ‘বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তিনি শিক্ষিত, তা সত্ত্বেও স্বামীজির সম্পর্কে কিছু বিকৃত মন্তব্য করেছে। যেটা আপামর বঙ্গবাসীকে অত্য়ন্ত বিরক্ত করেছে। এবং ওনারা মুখে প্রকাশ না করলেও, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বকে বিব্রত করেছে। সুকান্তবাবু নিশ্চয়ই অনেক পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু এতটা পড়াশোনা করার পরে ওনার মধ্যে এতটা দ্বিচারিতা রয়েছে গিয়েছে যে, যে, স্বামীজির গোটা মন্তব্য থেকে বাছাই করা কিছু অংশ বের করে, বিকৃত করে,  মানুষের কাছে উপস্থাপনা করেছেন’।

বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে সায়নীর কটাক্ষ, ‘আমি ওনাকে দোষ দিই না, কারণ আমি মনে করি, ফুটবল কথাটা শুনলেই বিজেপি একটু চিড়বিড়িয়ে ওঠে। ২০২১ সালে তৃণমূলের কাছে বিজেপি এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলিতেও এত গোল খেয়েছে যে, এখন ফুটবল কথা শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে ওঠে। মানব বলুক বা মহামানব বলুক, সেটা গ্রাহ্য় করেন না। কিছু না কিছু উক্তি করেন’!

এদিকে বিবেকানন্দ ইস্যুতে যেদিন কলকাতায় মিছিল করল তৃণমূল, সেদিন শহরে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। সায়নী বলেন, ‘অমিত শাহজি ও জেপি নাড্ডাজি কলকাতায় এসেছেন। ওনারা ৩৫টা আসনের লক্ষ্য়মাত্রা দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি যদি এভাবে নেতৃত্ব দিতে থাকে এবং এই কথাবার্তা বলতে থাকে, তাহলে সাড়ে তিনটে আসনও বিজেপি পাবে না। রবীন্দ্রনাথ তো বিজেপির নয়, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তো বিজেপির নয়, স্বামী বিবেকানন্দ বিজেপির নয়। সেকারণেই বাংলাও বিজেপির নয়’।

আরও পড়ুন:  Amit Shah | J P Nadda: গুরুদ্বারে প্রার্থনা, কালীঘাটে পুজো, বঙ্গ বিজয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন শাহ-নাড্ডা!

স্রেফ মিছিল নয়, এদিন রাস্তায় ফুটবল খেলতেও দেখা যায় সায়নী ঘোষ ও শশী পাঁজাকে। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলেন, বিবেকানন্দ কোনওদিন বলেননি, ‘গীতাপাঠ না করে ফুটবল খেল, তিনি কর্মযোগের কথা বলেছেন। যেটা গীতাতেও উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপি সীতা, গীতাকে কাউকেই বাদ দিচ্ছে না। সবাইকে রাজনৈতিকভাবে টেনে আনছে, ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *