Bharatiya Janata Party : টার্গেট পূরণে প্রাথমিক প্রার্থী বাছাই শাহ-নাড্ডার বৈঠকে? – amit shah in kolkata today meeting with the selected leaders of bengal including sukanta suvendu


এই সময়: সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ বিজেপির বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রাখতে পারেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা। এই বৈঠকে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে থাকতে পারেন। নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে আজ দুপুর ও রাতে দু’দফায় বৈঠক হওয়ার কথা।

সূত্রের খবর, এই বৈঠকে রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিশদ আলোচনা করে প্রাথমিক নামের খসড়া তালিকা তৈরি হতে পারে।
সাধারণত খসড়া নামের তালিকায় লোকসভা কেন্দ্র পিছু একাধিক নাম থাকে। পরে সেখান থেকে একজনকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। সোমবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছন শাহ ও নাড্ডা। প্রথমে শুধু শাহ-ই রাজ্যে আসবেন বলে ঠিক হয়েছিল।

তার সঙ্গে নাড্ডাও বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে থাকবেন বলে চূড়ান্ত হওয়ায় গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই, রণকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে চলেছে। এই সফরে আজ ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির বিভিন্ন স্তরের কার্যকর্তা, সাংসদ, বিধায়ক, শাখা সংগঠনের প্রতিনিধি, সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে বড় সভা হওয়ার কথা।

তবে দুই শীর্ষ নেতাই বেশির ভাগ সময় নিউটাউনের হোটেলে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বরাদ্দ করেছেন। মাস কয়েক আগে রাজ্যে এসে বাংলা থেকে ৩৫টি লোকসভা আসন দখলের টার্গেট ঘোষণা করেন শাহ। যদিও এই টার্গেট পূরণ করা যে কঠিন, তা ভালোই জানেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। ‘ইন্ডিয়া’র দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে বাংলায় জোট হবে কি না, এখনও স্পষ্ট না-হলেও রাজ্যে যদি বিরোধীদের সিট শেয়ারিং মসৃণ হয়, তা হলে বহু লোকসভা সিটে বিজেপি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে পারে।

যদিও বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট এক নেতার কথায়, ‘লোকসভায় আমাদের ফল ভালো হবে। নতুন কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে আমরা জয়ী হব, হয়তো গতবারের জেতা কয়েকটি লোকসভা এবার হাতছাড়া হতে পারে। তবে ২০১৯ সালে যে সংখ্যায় আসন জিতেছিলাম, এবারও মোট জয়ী লোকসভার সংখ্যা প্রায় একই থাকবে।’

বঙ্গ-বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘অমিত শাহ গতবার টার্গেট দিয়েছিলেন ২২, আমরা ১৮টি আসন পেয়েছিলাম। এবার উনি ৩৫টি আসনের টার্গেট দিয়েছেন। ফলে ৩০টি আসন জয় তো হবেই। তার থেকেও বেশি আসনে জয় হতে পারে।’ যদিও তৃণমূল এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে।

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘২০২১-এর মতো এবারও ওঁরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করবেন। কিন্তু বাংলার মাটি অত্যন্ত শক্ত। বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারবে না। ওঁরা কোনও সুবিধা করতে পারবেন না।’ শাহি টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার দাবি করলেও মেদিনীপুরের সাংসদ নিজেই এ দিন কবুল করেছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কারণে আমাদের অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। আস্তে আস্তে তাঁরা কাজ শুরু করছেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ চলছে।’

নিচুতলার নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়াও বিজেপির জেলায় জেলায় কোন্দলও রয়েছে। কোন লোকসভা কেন্দ্রের কে উপযুক্ত প্রার্থী, তা নিয়ে প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, রানাঘাট, পুরুলিয়া-সহ যে লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সিটিং এমপি রয়েছেন, তাঁদেরই ফের টিকিট দেওয়া সঠিক হবে কি না—তা নিয়েও মতভেদ রয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

Amit Shah Kolkata Visit: বড়দিনে বঙ্গে অমিত শাহ, দফায় দফায় বৈঠক কর্মসূচি
এই বিষয়গুলির জট ছাড়িয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এ দিনের বৈঠকে শাহ-নাড্ডা এগিয়ে রাখতে চলেছেন বলে রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা মনে করছেন। এছাড়া বাংলায় বিজেপির প্রচারের অভিমুখ কী হবে, কোন কোন ইস্যুকে প্রচারের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে—তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *