এই বিষয়ে রুমা ভট্টাচার্যের স্বামী শতদল ভট্টাচার্য জানান, সকালে রুমা তাঁকে কেক কেটে খাওয়ান। তারপর তিনি প্রতিদিনের মতো কাজে বেড়িয়ে যান। পরে তিনি ফোন মারফৎ খবর পান গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রুমাদেবীর দেহ বাড়ির মধ্যে ঝুলছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কী ভাবে মৃত্যু হল তাঁর, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্বামী যা বলছেন…
শতদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি ৭টা ১০-১৫ নাগাদ বেড়িয়ে গিয়েছি। এরপর পাড়ার একজন ফোন করে বলল তোর স্ত্রী মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়িতে আয়। আমার সরাসরি বলতে চায়নি। এরপর আরও একজন ফোন করে আমায় সমস্ত ঘটনা বলল। এমন কিছু আমার নেই। দিন আনি দিন খাই। পৌরহিত্য করি। কী কারণে হল আমি বলতে পারছি না।’
দলের নেত্রী বললেন…
পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভাপতি শ্রবন্তি মজুমদার বলেন, ‘আমায় ২ দিন আগে ফোন করেছিল, আমাদের কমিটিগুলির বিষয়ে। আজ সকালে শুনলাম তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এখনও কিছু বিষয় জানতে পারিনি। আমায় ফোন করে বলেছিল, একটা কমিটি পাঠিয়েছি, পাশ করাতে হবে। আজ সকালে এই কথাটা শুনে খুব খারাপ লাগছে।’
গতমাসে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
প্রসঙ্গত, গত মাসে এক বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে। দীপু মিশ্র নামে এক বিজেপি নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুকে ওই বিজেপি নেতাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় বিজেপি নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপু। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে প্রার্থীও হয়ে ছিলেন তিনি। আর তার ঠিক পরের মাসেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানে।