EVM Machine : কী ভাবে দেবেন ভোট? জানিয়ে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন – east burdwan district administration starts special evm campaign ahead of lok sabha election 2024


আগামী বছর জেশে লোকসভা নির্বাচন। তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির যেমন প্রস্তুতি চলছে, তেমনই প্রস্তুতি চলছে প্রশাসনিক স্তরেও। এরই মাঝে এবার ২০২৪ এর লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে ইভিএম মেশিনের প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ ট্যাবেলোর শুভ উদ্বোধন হল পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কার্যালয়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্ল্যাগ নাড়িয়ে ট্যাবলোর উদ্বোধন করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। এছাড়ও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক অমিয় কুমার দাস-সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,ইভিএম প্রদর্শনের এই ভ্রাম্যমান ভ্যানটি জেলার প্রতিটি ব্লকের বুথে বুথে পৌঁছাবে এবং একদিনের জন্য হলেও এই ইভিএম এর পুরো বিষয়টি ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই ভ্রাম্যমান ভ্যান জেলার বিভিন্ন ব্লক ও বুথ স্তরে পাঠান হবে। এর মাধ্যেমে সাধারণ মানুষকে ইভিএম-এর দ্বারা কী ভাবে ভোট দিতে হবে, ভোটদান সম্পূর্ণ হয়েছে কি না এবং ভিভিপ্যাডের মাধ্যেমে যে চিহ্নে ভোট দিয়েছেন তা ঠিকভাবে হয়েছে কি না সব কিছুই বোঝানো হবে। এই ভ্রাম্যমান ভ্যানটি প্রথম পর্যায়ে ২০ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছবে বলে দাবি করেন জেলাশাসক।

EVM

ইভিএম নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘সামনে লোকসভা নির্বাচন আছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অনুযায়ী আমরা প্রতিটি বুথে বুথে এই ভ্রাম্যমান ভ্যান পাঠাচ্ছি। যেখানে ইভিএম-এর সচেতনতামূলক প্রচার চালান হবে। অর্থাৎ ইভিএম কী, কী কী বিষয় থাকে, কী ভাবে ভোট দিতে হয়, ভোট দেওয়ার পর ভোটার কী ভাবে জানতে পারবেন যে তিনি যাঁকে ভোট দিয়েছেন, সেই প্রার্থীই ভোট পেয়েছেন কি না। ফলে ভোটার নিশ্চিন্ত হতে পারবেন যে, যাঁকে ভোট দিয়েছেন, তিনিই ভোট পেয়েছেন কি না। এই জন্যই এই ভ্রাম্যমান ইভিএম আমরা প্রতিটি বুথে পাঠাচ্ছি। জেলাশাসক আরও বলেন, ডিএম অফিস ও এসডিও অফিসে এই ধরণের ইভএম রয়েছে। যাঁরা আসছেন তাঁদের আমরা দেখাচ্ছি এবং ভোটারদের সচেতন করছি। ইভিএম-এর মাধ্যমে প্রত্যেকের ভোট ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত থাকবে।’

পূর্ণেন্দু মাজি জানান, ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত এটা চলবে। আপাতত ২০ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সেটি বাড়ানো যায় কি না, তাও দেখা হবে বলে জানান জেলাশাসক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *