দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এমাথা থেকে ওমাথা একাধিক ফেরি ঘাট রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ডায়মন্ড হারবার ফেরি ঘাট, বজবজ ফেরি ঘাট, নুঙ্গি ফেরি ঘাট, পূজালি ফেরি ঘাট, আছিপুর ফেরি ঘাট, বিড়লাপুর ফেরি ঘাট, আকড়া ফেরি ঘাট। এছাড়াও অবশ্যই এই জেলার অন্যতম ব্যস্ত এবং পর্যটনমুখী ফেরি পরিষেবা গোসাবা, ঝড়খালি থেকে হয়।
ডায়মন্ডহারবার ফেরি ঘাট
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সংযোগ রক্ষা করেছে ডায়মন্ডহারবার ফেরি ঘাট। ডায়মন্ড হারবার থেকে কুকরাহাটি ফেরি সার্ভিসের উপর নির্ভর করেন প্রচুর মানুষ। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ফেরি সার্ভিস চালু হয়। ফেরি চলে রাত প্রায় সাতটা পর্যন্ত। ভাড়া নেওয়া হয় ২০ টাকা। দুই জেলার মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য এই ফেরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বজবজ ফেরি ঘাট
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফেরি সার্ভিস হল বজবজ ঘাট থেকে। হাওড়া জেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করেছে এই ঘাট। হাওড়া থেকে দক্ষিণ কলকাতা, শহরতলিতে আসার জন্য বহু মানুষ এই ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করেন। হাওড়া থেকে বজবজ ফেরি সার্ভিস করে বজবজ ট্যাঙ্ক রোড হয়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় দক্ষিণ কলকাতায়। হাওড়া জেলার বাউড়িয়া থেকে বজবজ ফেরি সার্ভিস চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত। ভাড়া নেওয়া হয় ৬ টাকা। আধ ঘন্টা অন্তর ফেরি পরিষেবা পাওয়া যায়।
নুঙ্গি ফেরি ঘাট
নুঙ্গী থেকে হীরাপুর পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস খুবই জনপ্রিয়। নুঙ্গী থেকে সকাল ৬.২৫ নাগাদ ফেরি সার্ভিস চালু হয়। রাত নয়টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। হীরাপুর থেকে সকাল ছয়টা নাগাদ ফেরি চালু হয়ে চলে রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত।
পূজালি ফেরি ঘাট
পূজালি ঘাট থেকেও লাডলো পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। পূজালি থেকে সকাল ৫টা নাগাদ ফেরি চালু হয় ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা অন্তর ফেরি চলাচল করে। রাত ৮.৪৫ পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে।
আছিপুর ফেরি ঘাট
হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে আছিপুর ফেরি ঘাট। এই ঘাট থেকে আধ ঘণ্টা অন্তর ফেরি চলাচল করে। সকাল ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ফেরি করে। উলুবেড়িয়া থেকে ফেরার শেষ ফেরি ছাড়ে রাত আটটা নাগাদ। বাইক পারাপারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়।
বিড়লাপুর ফেরি ঘাট
বিড়লাপুর থেকে হিরাগঞ্জ পর্যন্ত ফেরি চলাচল করে। সকাল ৬.১৫ নাগাদ প্রথম ফেরি চলাচল করে। আধ ঘণ্টা অন্তর ফেরি সার্ভিস রয়েছে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস পাওয়া হয়।
ঝড়খালি – গোসাবা ফেরি সার্ভিস (সুন্দরবন)
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম জনবহুল ফেরি সার্ভিস হল ঝড়খালি এবং গোসাবা থেকে ফেরি সার্ভিস। সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য এই দুটি ঘাট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘাটগুলি থেকে মূলত লঞ্চের মাধ্যমে সুন্দরবন নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিদিন এই ঘাটগুলিতে নির্দিষ্ট বুকিং পদ্ধতিতে মাধ্যমে সুন্দরবন যাত্রা হয়। লঞ্চের গুণমান এবং পরিষেবার উপর নির্ভর করে ভাড়া নির্ধারিত হয়। সেক্ষেত্রে যাতায়াত ছাড়াও খাওয়া দাওয়া ও অন্যান্য খরচা সংযুক্ত থাকে।