Garh Bhawanipur Tour : রাজ্যে তৈরি হচ্ছে নয়া পর্যটনকেন্দ্র? মন্ত্রী অরূপের মন্তব্যে জোরাল জল্পনা – arup ray minister says garh bhawanipur of howrah will be developed as new tourism spot


হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর। বিধানসভার গড়ভবানীপুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। পঞ্চদশ থেকে অষ্টাদশ শতকে প্রথমে এই গড়ভবানীপুর ছিল ‘ভুরিশ্রেষ্ঠ’ বা ভুরশিট রাজ্যের রাজধানী। সেই দিক থেকে উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুর রাজ্যের অন্যতম ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আর এলাকার এই ঐতিহাসিক স্মৃতি সংরক্ষণ ও এলাকাটিকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরীর করার লক্ষ্য নিয়েছে। রায়বাঘিনী রানি ভবশঙ্করী স্মৃতিরক্ষা সমিতি।

আর স্মৃতিরক্ষা সমিতির উদ্যোগে গত কয়েকবছর ধরে এই কেন্দ্রে রায়বাঘিনী রানি ভবশঙ্করলী স্মৃতি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এই বছর এই মেলা ১১ তম বর্ষে পদাপর্ন করল। মেলার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সমীর পাঁজা, বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানস কুমার মণ্ডলসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা।

গড়ভবানীপুরে নয়া পর্যটনকেন্দ্র?

গড়ভবানীপুরে নয়া পর্যটনকেন্দ্র তৈরি পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই রয়েছে। মেলা উদ্বোধনের পর মন্ত্রীর অরূপ রায়ের মন্তব্যে সেই সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে। মেলার উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে গড়ভবানীপুরকে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

প্রসঙ্গত, উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুরের ১০ একর এই জায়গাটিকে নিয়ে একটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে এই পর্যটনকেন্দ্রে ইকো পার্ক, শিশু উদ্যান, পদ্ম পুকুর, অর্কিড বাগান, নার্সারি, প্রজাপতি উদ্যান, রঙিন মাছের পুকুর তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে বিশ্ব বাংলা লোগো, মনীষীদের মূর্তি, জলের ফোয়ারা বসানো হবে। প্রবীণদের বসার জন্য তৈরি হবে বিশেষ পার্ক। এছাড়াও গাছে ঘেরা ইকো পার্কে ক্যাফেটেরিয়া তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

গড়ভবানীপুর হবে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র

অরূপ রায়, মন্ত্রী

হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ পরিবার ব্যবহৃত পুকুর সৌন্দর্যায়ন, মাটির বাড়ি, গাছ বাড়ির আদলে পর্যটক আবাস, ভগ্নপ্রায় গোপীনাথ জিউ মন্দিরের সংরক্ষন ও সৌন্দার্যায়ন, দ্বিতল রাজবাড়ির আদলে মডের শো বাড়ি ও মিউজিয়াম যেখানে একতলায় এলাকার ইতিহাসকে মডেল শো এর মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এবং দ্বিতলে সংগৃহীত বস্ত সামগ্রী ও বাংলার হস্তশিল্পের প্রদর্শনী কক্ষ গড়ে তোলা হবে।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুক্ত সংস্কৃতি চর্চা মঞ্চ, দুই ও চার শয্যার ডরমেটরিসহ পর্যটক আবাস, সম্মেলন কক্ষ নির্মান, পার্কিং সিকিরিউটি কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। এখানকার ঝিলে মাছ ধরা ও বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও রাজস্থানের চিতোর গড় দুর্গের প্রবেশ দ্বারের আদলে মুল এলাকার প্রবেশ তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *