সূত্রের খবর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরে ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত অংশে পরিদর্শন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কমিশন অফ মেট্রো রেল সেফটির তরফে। সূত্র মারফৎ আরও জানা যাচ্ছে, এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদার পূর্বমুখী টানেলের হাল খুব একটা সন্তুোষজনক নয়। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী কয়েকদিন আগে পর্যন্ত এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা পূর্বমুখী টানেলের কিছু অংশে লাইনও পাতা হয়নি বলে জানা যায়।
কী জানাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?
তাহলে কবে গঙ্গার তলা দিয়ে চলবে মেট্রো? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে আপামর জনতার মনে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সেকশান চালুর সিদ্ধান্ত রেল বোর্ড নেয়। আপাতত রেল বোর্ড থেকে সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি, যে কবে হবে। এখনও কাজ শেষ হয়নি, সিআরএস হয়নি। সিআরএস হোক, তারপর ওপেনিং হবে। সিআরএস-এর জন্যই ওপেনিং হল না, সিআরএস শেষ হলে ওপেনিং হবে।’
প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প বর্তমানে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত চালু রয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে চলছে লাইনের বাকি অংশের কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে আগে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ইস্ট ওয়েস্ট করিডোরে প্রস্তাবিত রুটটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ১৬.৫৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে, ইতিমধ্যেই ৯.৩০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪.৮০ কিমি এবং ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে অবশিষ্ট ২.৪৫ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের কাজ সম্পন্ন করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে আরও জেনে রাখা দরকার, এই প্রকল্পে মোট ১৬.৫৫ কিলোমিটার রুটের মধ্যে ৫২০ মিটার পথ গঙ্গার নীচে রয়েছে। অর্থাৎ এই ৫২০ মিটার পথ গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোয় চেয়ে অতিক্রম করবেন যাত্রীরা। আর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে মোটামুটি ৪৫ সেকেন্ডের মতো। নব মহাকরণ এবং হাওড়া মেট্রো স্টেশনের মাঝে গঙ্গা অতিক্রম করতে হবে মেট্রোকে।