Liquor Sale : বড়দিনে দিঘা-মন্দারমণিতে মদের ফোয়ারা, ৮ কোটি ঢুকল সরকারের ভাঁড়ারে – purba medinipur districts earn almost 8 crore rupees in 24 and 25 december


বড়দিন, বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি এবং দিঘা- এই তিনের কম্বিনেশন থেকে নজর ঘোরানো এককথায় অসম্ভব। চলতি বছরেও বড়দিনে দিঘা-মন্দারমণির হোটেলগুলিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে কোটি কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে মাত্র এক দিনে। পরিমাণটা জানলে চমকে উঠবেন।

বড়দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে কত মদ বিক্রি হল?
বড়দিনে কোটি কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। অঙ্কটা চার কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৮ টাকার। আর এই দিনে বিক্রির নিরিখে বিদেশি মদকে টেক্কা দিয়েছে দেশি মদ। শুধু বড়দিনেই দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৬৭ হাজার ৬০৩.১২ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৫৫ হাজার ৮১৭.৪২ ব্যারল লিটার। এছাড়াও বিয়ার বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার ০৩১ ব্যারল লিটার।

শুধু বড়দিন নয়, ২৪ ডিসেম্বরও চার কোটির বেশি ব্যবসা হয় শুধুমাত্র একটি জেলাতেই। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে চার কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯৭ টাকার ব্যবসা হয়। তার মধ্যে ভারতীয় মদ ছিল ৭৪ হাজার ২৯১ ব্যারল লিটার, বিদেশি মদ ছিল ৪০ হাজার ৩৪২.৪৩ ব্যারল লিটার এবং বিয়ার ছিল ২১ হাজার ০৩২.২৯ ব্যারল লিটার। মোট ২৮১টি দোকান খোলা ছিল এই দুই দিন। আর সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকার এই ব্যবসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ বড়দিন এবং তার আগের দিন একটি জেলাতেই ৮ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

আর পূর্ব মেদিনীপুরে এই বিপুল মদ বিক্রিতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হয়েছিল সমুদ্র সৈকত, এমনটাই জানা যাচ্ছে। এদিকে এই দিনগুলিতে নাকা চেকিংও করা হয়েছে দফায় দফায়। কোনওভাবে যাতে মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনা না ঘটে, সেই দিকেও দেওয়া হয় বিশেষ নজর। দিঘা বর্ডার এলাকা, চউলখোলা এবং অন্যান্য জায়গাতে চেকিং করা হয়।

১ তারিখ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন মেয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনওভাবেই যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। জায়গায় জায়গায় নাকা চেকিং থেকে শুরু করে রাতের বেলা সমুদ্রের ধারে বিশেষ নজরদারি, পর্যটক তথা সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *