Malda Jaggery : খেজুর গুড় বিক্রি করে ফিরবে অর্থনীতি! স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলার গ্রাম – malda jaggery made with date has huge demand businessman want government financial help


বড়দিন শেষ। এবার নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাসী। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে উৎসব। কোথা হচ্ছে মেলা, কোথাও ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল আবার কোথাও পিঠে পুলি উৎসব। কারণ শীতকাল মানেই তো পিঠে-পুলি খাওয়ার সময়। রকমারি গুড়ের মরশুম। সেই কারণে এই সময় খেজুর গুড় থেকে শুরু করে নলেন গুড়ের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এই অবস্থায় খাঁটি খেজুর গুড় তৈরি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন একটি গ্রামের গুড় ব্যবসায়ীরা।

মালদায় খাঁটি খেজুর গুড়

শীতকালে খেজুর গুড় তৈরি করে অর্থনীতি জোরালো করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রাম। গোটা জেলায় খাঁটি খেজুর গুড় এই গ্রামেই তৈরি হয় বলে দাবি করছেন গুড় প্রস্তুতকারকরা। তাঁদের তৈরি খেজুর গুড়ের চাহিদা প্রতি বছরই বলে দাবি প্রস্তুতকারকদের। তবে সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় তাঁরা এই ব্যবসা বড় আকারে করতে পারছেন না বলে আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন গুড় ব্যবসায়ীরা।

এলাকার খেজুর গাছের গুণগত মানের প্রশংসা করেছেন ওই এলাকার অধিকাংশ গুড় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু একইসঙ্গে প্রশাসননকে নিয়ে অভাব অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বরিন্দের এই এলাকায় খেজুর গাছের রস খুব মিষ্টি৷ ফলে গুড়ের স্বাদও খুব ভালো৷ পাইকারদের আনাগোনাও বেশ ভাল৷ কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এবং সরকারের উদসানীতার কারণে তাঁরা বড় আকারে ব্যবসা করতে পারছেন না। বড় আকারে ব্যবসা করতে পারলে জেলার অর্থনীতি আরও উন্নত হবে বলে দাবি গুড় ব্যবসায়ীদের।

দুর্গাপুর গ্রামের ১৮টি পরিবার এই গুড় তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত৷ মূলত তাঁরা কৃষিজীবী৷ তবে শীত পড়লেই বদলে যায় তাঁদের পেশা। খেজুর গুড় তৈরির কাজে নেমে পড়েন তাঁরা৷ অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুনের শেষ পর্যন্ত তাঁদের নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না৷ গাছ থেকে রস সংগ্রহ, তারপর সেই রস থেকে গুড় তৈরি করে তা বিক্রি করা। বছরের এই সময় একটু বেশি টাকা রোজগারের আশায় বসে থাকে সবকটি পরিবার।

স্থানীয় এক গুড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের এখানে খেজুর গাছ খুব ভাল। খেজুরের রস খুব মিষ্টি হয়। সারা বছর চাষবাস করলেও এই সময় আমরা গুড় তৈরি করি। আমাদের এখানকার তৈরি খেজুর গুড়ের বাজারে চাহিদা রয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এখানে আসেন। লাভ খারাপ হয় না। তবে এই ব্যবসা আরও বড় আকারে করা সম্ভব। কিন্তু অর্থই সমস্যার কারণ। সরকারি তরফেও কোনও সাহায্য মেলে না। তাই কী করব বুঝে উঠতে পারি না। প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *