মঙ্গলবার এ বিষয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন আসানসোলের বিজেপি নেতা তথা ‘কালচার্যাল অ্যান্ড লিটারারি ফোরাম অব বেঙ্গল’-এর সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীও। তবে বিজেপির এই কৌশলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, কোনটা আসল মেলা আর কোনটা নকল, সেটা বাংলার মানুষ ঠিকই ধরতে পারবে।
সূত্রের খবর, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই উৎসবে জিতেন্দ্রকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূল সরকার যে সঙ্গীত মেলার আয়োজন করে, তাতে ব্যাপক স্বজনপোষণ হয়। তৃণমূলপন্থী শিল্পীদেরই শুধু আমন্ত্রণ জানানো হয়।
জিতেন্দ্রর কথায়, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছর ২০ জানুয়ারি একদিনের বঙ্গ-সঙ্গীত উৎসব হবে। পাহাড় থেকে সাগর, যে শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বজনপোষণের কারণে গান মেলায় সুযোগ পান না, তাঁদের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করব।’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘যে কেউ সঙ্গীত মেলার আয়োজন করতে পারেন। অসুবিধার তো কিছু নেই।’
পালটা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের কটাক্ষ, ‘বিজেপির তো একটাই কাজ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুকরণ করা। তাঁর বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প পরবর্তীতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে চালু করার চেষ্টা হয়েছে। আসল তো আসলই থেকে যায়। বিজেপি সঙ্গীত মেলা করতেই পারে। তবে কোনটা আসল মেলা, তা বুঝতে রাজ্যের মানুষের বেশিক্ষণ লাগবে না।’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর টিপ্পনি, ‘বিজেপি আর তৃণমূল তো গীতাপাঠ আর চণ্ডীপাঠ নিয়ে মেতেছিল এতদিন। হঠাৎ সঙ্গীত মেলার প্রয়োজন পড়ল কেন, বুঝতে পারছি না।’