Epilepsy : মাথার চুল ছোট করে কেটে দেওয়া নিয়ে ‘অবসাদ’, নদিয়ায় আত্মঘাতী যুবতী – nadia young girl affecting in epilepsy unnatural death investigated by police


শারীরিক অসুস্থতা ছিল যুবতীর। অসুস্থতার কারণে মাথার চুল পড়ে যাচ্ছিল। সেই কারণে চুল ছোট করে দেওয়া হয়। মাথার চুল ছোট দেওয়ার কারণে আত্মঘাতী হলেন এক ওই যুবতী। মর্মান্তিক ঘটনা নদিয়া জেলায়। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কী জানা যাচ্ছে?

নদিয়ার কৃষ্ণনগর ২ নম্বর ব্লকের ধুবুলিয়া সিংহাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবতী। মৃত যুবতীর নাম সোহানী মল্লিক। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর মৃগী রোগ ধরা পড়ে। তারপর থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মাথার চুল উঠে যাচ্ছিল। সেই কারণে মাথার চুল ছোট করে কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মাথার ছোট চুল সে কোনওভাবে মেনে নিতে পারছিল না বলে পরিবার সূত্রে খবর।

পরিবার কী বলছে?

পরিবারের দাবি, মাঝেমধ্যেই নিজের চুল নিজে ছিড়ে ফেলত। অস্বাভাবিক ব্যবহার করতো ওই যুবতী বলে পরিবার সুত্রে খবর। মাথার চুল নিয়ে সোহানী প্রতিনিয়ত মানসিক অবসাদে ভুগত। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই তার ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় ধুবুলিয়া থানায়। ধুবুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

এরপরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সোহানির মৃত দেহটি। এ বিষয়ে ধুবুলিয়া থানার নওপাড়া ১ পঞ্চায়েত সদস্যা সাবিনা বিবি জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহানীর চিকিৎসা চলছিল। একইসঙ্গে তার মাথার চুল উঠে যাচ্ছিল। একটা সময় ছোট করে চুল কেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাথার চুল ছোট মানতে পারতো না। মানসিক অবসাদগ্রস্ত সেই এই পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ।

kalyani Expressway: লরির ধাক্কা, মৃত্যু নর্তকী ও যুবকের
বিভিন্ন জেলা থেকে মাঝেমধ্যেই অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় আত্মহননের ঘটনার খবর উঠে আসে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা পরমার্শ দেন, মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছেলে মেয়েদের পাশে সর্বক্ষণ তাঁদের পরিবারের সদস্যের থাকা উচিত। তাঁর মানসিক শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করা উচিত। প্রয়োজন হলে কোনও মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ওই যুবতী মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় এইরকম মর্মান্তিক পথ বেছে নিল পরিবার বলেই মনে করছে পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *