Highest Aged Person : দেশভাগ থেকে স্বাধীনতার সাক্ষী! ৩৪ নাতি-পুতি নিয়ে ‘সেঞ্চুরি’ পার সুভদ্রা দেবীর – bankura simlipal old lady celebrated hundred year age birthday


মানুষের গড় আয়ু যখন কমছে। ঠিক তখনই বয়স যে একটা সংখ্যামাত্র তা প্রমাণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সিমলাপালের জড়িষ্যা গ্রামের সুভদ্রা মহান্তী। মঙ্গলবার একশো বছর বয়স হল তাঁর। কেক কেটে, পায়েস খাইয়ে দিদার জন্মদিন পালন করলেন নাতি-পুতিরা।

জানা গিয়েছে, ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ৯ পৌষ পরাধীন ভারতে বর্তমান সারেঙ্গার নেতুরপুর গ্রামে জন্ম। তারপর এক, দুই, তিন করে ৯৯ টি শীত পেরিয়ে মঙ্গলবার তিনি পা রাখলেন ১০০ বছরে। আর বিশেষ এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মহান্তী পরিবারের তরফে ‘রাম রজনী নিবাসে’ আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠানের। এদিন সকাল থেকে সুভদ্রা দেবীর শততম জন্মদিন পালন ঘিরে সাজো সাজো রব। কেক কেটে, পায়েস খাইয়ে নাতি নাতনীদের ঠাকুমার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজন থেকে পাড়াপ্রতিবেশী সকলেই ।

মহান্তী পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, মাত্র ১১ বছর বয়সে ত্রিলোচন মহান্তীর সঙ্গে বিয়ের পর একে একে সাত মেয়ে ও তিন ছেলের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে ৩৪ জন নাতি নাতনী সহ তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৪০ জন। পরাধীন ভারত, স্বাধীনতা আন্দোলন, ১৯৪৭ এ দেশ ভাগ, ও স্বাধীনতা লাভ থেকে ১৯৫১-৫২ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচন, এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৭৮ সালে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাক্ষীও থেকেছেন তিনি। এমনকি এরাজ্যে কংগ্রেস, যুক্তফ্রন্ট, বামফ্রন্ট থেকে ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সাক্ষীও এই প্রবীণ মানুষটি এখনো শারিরীকভাবে সক্ষম। নিজের কাজ অনেকখানি নিজেই করতে সক্ষম।

IAS Officer : প্রশাসনিক ব্যস্ততার মাঝেও শখ সংগীত চর্চা, বিষ্ণুপুর মেলার মঞ্চ মাতালেন মহকুমা শাসক
বড় বৌমা নীলিমা মহান্তী বলেন, শাশুড়ি মা এখনো শারিরীকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম। আমাদের সংসারের প্রাত্যহিক কাজকর্মে তাঁর নির্দেশেই এখনও পরিচালিত হয়। নাতি সৌমিত্র মহান্তী, প্রপৌত্র পর্বত দণ্ডপাঠরা বলেন, ‘একজন ব্যক্তি মানুষের শতবর্ষ দেখার সৌভাগ্য সেভাবে হয়না, আমরা সেই সৌভাগ্যের অধিকারী। আমরা তাই নিজেদের মতো করে পারিবারিক আয়োজনে জন্মদিন পালন করলাম। এই দিনটি তাদের প্রত্যেকের কাছেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে তারা জানান।’ সুভদ্রা মহান্তী দেবী নিজেও সকলের সঙ্গে এই আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা। তাঁর মুখেও এদিন ফুটে উঠল খুশির হাসি। সকলের সঙ্গে এই মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিয়ে তিনি আরও কিছু বছর পৃথিবীর শোভা উপভোগ করে যেতে চান তিনি বলে জানালেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *