Calcutta High Court,ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশ-আর্মি-ডাক্তার-প্রেস লেখা কি বৈধ? আইন কী বলছে জানুন – writing police press lawyer doctor on private vehicle legal or not explained


ট্রাফিক সিগন্যাল বা পার্কিংয়ে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে কোনও গাড়িতে লেখা পুলিশ, কোনও গাড়িতে লেখা প্রেস, কোনটায় অ্যাডভোকেট তো কোনওটায় ডাক্তার। কিছু কিছু সময় ভুয়ো লোকজনদেরও সন্ধান মেলে। ব্যক্তিগত গাড়িতে এমন স্টিকার লাগানো নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। অভিযোগ তোলা হয়, প্রভাব খাটানোর। কিন্তু, আদৌ কি ব্যক্তিগত গাড়িতে এসব স্টিকার লাগানো যায়? আইন কী বলছে?

পুলিশ কর্তাদের একাংশের দাবি, আইনে কোনও জায়গাতেই এই স্টিকার লাগানো বৈধ না অবৈধ তা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা নেই। তবে ভারতীয় দন্ডবিধিতে যদি কেউ পুলিশ বা ডাক্তার বা সাংবাদিক না হয়েই স্টিকার লাগান অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয় দেন সেক্ষেত্রে শাস্তির সংস্থান রয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারায় Cheating By Impersonation অর্থাৎ যদি কেউ নিজের ভুল পরিচয় দেয় তা অপরাধ।

২০২৩ সালেরই মে মাসে হাইকোর্ট এই নিয়ে একটি রায় দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, কোনও পুলিশকর্মীর ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশের স্টিকার ব্যবহার অবৈধ নয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুধু কোনও পুলিশকর্মী নন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা, বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িতে তাঁদের নাম এবং পেশাগত স্টিকার ব্যবহার করতেই পারেন।

প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে এক অফিসার প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি ভাবে পার্কিং করছেন বলে মামলা হয়েছিল। সার্ভে পার্ক থানায় দায়ের হওয়া সেই এফআইআর খারিজের আর্জিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই পুলিশ অফিসার। সেই মামলাতেই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের ফৌজদারি মামলা খারিজ করেছিলেন।

ফাঁকা রাস্তায় সিগারেট খাওয়া যায়? প্রকাশ্যে ধূমপানে বঙ্গে কত টাকা জরিমানা দিতে হয় জানেন?

এক ব্যক্তি আরটিআই করে জানতে পারেন, সেটি সরকারি গাড়ি নয়, ব্যক্তিগত। তাঁর অভিযোগ ছিল, আইসি তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িটিকে সরকারি গাড়ি হিসেবে দেখিয়ে অবৈধ ভাবে পার্ক করার চেষ্টা করেছেন। যা আদতে ফৌজদারি অপরাধ। ওই আইসি’র বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজুর জন্যে আলিপুর আদালতে আবেদন জানানো হয়। এর ভিত্তিতে মামলা শুরু করে আলিপুর আদালত। আইসি’কে হাজিরারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইসি। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে, বিভিন্ন পেশার মানুষের গাড়িতে পেশার উল্লেখ করে স্টিকার সাঁটানোয় আর আইনি বাধা রইল না বলা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *