ED Raid Kolkata : সাত সকালে বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ED তল্লাশি, নজরে নিয়োগ দুর্নীতি – ed raid in 9 places of kolkata in recruitment scam cases


বৃহস্পতির সকালে চরম তৎপর ED। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসঙ্গে শহরের মোট নয় জায়গায় চালানো হয় তল্লাশি। এর মধ্যে রয়েছে বড়বাজার, মানিকতলা, নিউ আলিপুরও। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য হাতে পাওয়ার জন্যই এই সমস্ত জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। তবে ED-র তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপর পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টেরও বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন রয়েছে। তাই বছর শেষেও তৎপর ED। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই জায়গাগুলিতে গিয়ে সেখান থেকে কোনও নথি উদ্ধার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই জায়গাগুলিতে ED-র সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কয়েক জায়গায় ছিলেন মহিলা আধিকারিকরাও। কী কারণে এই তল্লাশি? বছরের শেষে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে কি কোনও নয়া চমক? উঠছে প্রশ্ন।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সামনে আসার পর গোটা রাজ্য়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি ইডি তল্লাশি চালায় তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে নাম উঠে আসা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে।

আর এতেই কার্যত চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারীদের। অর্পিতার বেলঘরিয়া এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। শুধু টাকা নয়, উদ্ধার হয় গয়নাও। এরপর গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। আপাতত তাঁরা দুইজনেই সংশোধনাগারে।

শুধু পার্থ-অর্পিতা নয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পরতে পরতে রহস্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যাকে। আর তদন্তের সূত্র ধরেই নাম উঠে আসে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের।

অয়নের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরনিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও একাধিক তথ্য সামনে আসে। এরপরেই পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় ED। কোর্টের সম্মতি নিয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছিল।

Recruitment Scam : এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা-গয়না
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর জন্য বেঁধে দিয়েছে টাইম লাইনও। সবমিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একেবারে শেষ টানেল কোনটা? এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন? সেই জট ছাড়ানোর জন্য চূড়ান্ত তৎপর ED-CBI।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *