অবশেষে বুধবার রাতে ময়দানে নামেন গ্রামের মহিলারাই। কিন্তু এদিন রাতে সর্দার পাড়ার মহিলারা অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করলেও পুনরায় গ্রামে চোলাই মদ বিক্রি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বৃহস্পতিবার আবগারি দফতরের আধিকারিকরা গ্রামে অভিযান চালালেও এদিনও তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
তুলসীবেড়িয়া সর্দারপাড়ায় বেশ কয়েকবছর ধরেই রমরমিয়ে চলছে চোলাই মদের ব্যবসা। অভিযোগ, উলুবেড়িয়ার ধূলাসিমলা, হীরাপুর, মদাই-সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চোলাই মদ গ্রামে নিয়ে আসার পর, বিভিন্ন প্রান্তে তা বিক্রি শুরু হয়। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই চোলাই মদের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। কিশোর থেকে বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছে না। চোলাই মদ খেয়ে অনেকের মৃত্যু হলেও এই নেশার কবল থেকে গ্রামের পুরুষদের বের করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি গ্রামের মহিলারা মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করলেও তারপরে আবার রমরমিয়ে শুরু হয়ে যায়।
হাওড়া গ্রামীণ জেলার আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন তুলসীবেড়িয়ার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালাই। গত ৪ মাসে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের মহিলাদের আমাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে আসা হয়েছে। আবার অভিযান চালান হবে।’
প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগে উলুবেড়িয়ারই হীরাপুরে চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবগারি দফতর এবং পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে মুহূর্মুহু বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে চোলাই মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও পালাতে সক্ষম হয় চোলাই ব্যবসায়ীরা। পুলিশ জানায়, সেই অভিযানে ৭টি নৌকা ও নৌকা ভর্তি চোলাই এবং চোলাই মদ তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত হয়। তবে চোলাই ব্যবসায়ীরা নদীপথে পালিয়ে যায়।