কত গাড়ি যাতায়াত করে?
যশোর রোডের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সংখ্যাটা লাখের উপর। উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনায় বনাগাঁয় অবস্থিত পেট্রাপোল। ফলে নিত্য যাতায়াত করে পণ্যবাহী ট্রাকও। কিন্তু, সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকী, দুর্ঘটনাও ঘটছে মাঝে মাঝে জানা যাচ্ছে এমনটাই।
একাধিক ‘গেরোয়’ যশোর রোড সম্প্রসারণ থমকে!
যশোর রোডের দুই দিকে একাধিক পুরনো গাছ রয়েছে। এই রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে এই সবুজগুলির জীবনই অন্যতম বাধা হয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারের কাজ করার জন্য চার হাজার ৩৬টি গাছ কাটতে হতে পারে, এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে। কিন্তু, রাস্তা সংস্কারের জন্য এত গাছ কাটা হলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, এই দাবিকে সামনে রেখে প্রতিবাদ করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
শুধু পথে নেমে প্রতিবাদ নয়, গাছগুলির প্রাণ বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সংগঠন আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল। এরপর সেই মামলা চলে আদালতে এবং ২০১৮ সালে গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট। আর এই কারণে বন্ধ থাকে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। এরপর অবশ্য উচ্চতর আদালতে গড়ায় মামলা এবং যশোর রোড সম্প্রসারণ ও গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। ৩০৫টি পুরনো গাছ কাটার বদলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ১৫০০ গাছ নতুন করে বসাতে হবে, দেওয়া হয় এই নির্দেশও।
এদিকে ফুটপাথ দখল করে থাকা অস্থায়ী দোকানগুলি নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়। অধিকাংশ দোকানদারই জায়গা ছাড়তে রাজি হননি। ফলে তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে কর্তৃপক্ষের জন্য। এরপরেই যশোর রোড সংস্কারের কাজ থমকে রয়েছে। অবিলম্বে যাতে তা শেষ হয়, এমনটাই দাবি জানাচ্ছেন নিত্য যাত্রীরা। তাঁদের কথায়, ‘আমরা চাই এই রাস্তা অবিলম্বে সংস্কার করা হোক।’