গাড়িতে ছিলেন ৭ জন
জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে কালিম্পঙের চুইকহিমের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সকলে। সেই সময় গাড়িতে চালক-সহ ৭ জন ছিলেন। অভিযোগ, বাগডোগরার গোঁসাইপুরের কাছে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা একটি বাসে পেছন থেকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই গাড়িটি বাসে গিয়ে ধাক্কা মারে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। আর সেই দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রাশিস চক্রবর্তী নামে ওই যুবকের। ঘটনার পর বাগডোগরা থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি মৃতের মা
মৃত ইন্দ্রাশিসের বাবা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘দক্ষিণেশ্বর থেকে কালিম্পঙের চুইকহিমে যাচ্ছিলাম। সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ছেলে মারা গিয়েছে। স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ গাড়িতে থাকা অন্যান্যরাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তারপরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে দুর্ঘটনা
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং কালিম্পঙ ও কার্শিয়াঙ-সহ গোটা পাহাড়ে এখন পর্যটনের মরশুম। দক্ষিণবঙ্গ থেকে বহু মানুষ প্রায় প্রতিদিনই বেড়াতে যাচ্ছেন পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে ওঠার প্রধান পরিবহণ মাধ্যমই হল গাড়ি। সেক্ষেত্রে এদিনের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যেও। কারণ চালক ঘুমিয়ে পড়ায় ঘটনাই দুশ্চিন্তায় রেখেছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায় পুরুলিয়ায় অযোধ্যা পাহাড়ে। অযোধ্যা পাহাড়ে ওঠার সময় একটি যাত্রী সমেত খাদে পড়ে যায় একটি গাড়ি। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয় মানুষেরা ভোরে দেখতে পান লোয়ার ড্যামের পাশে প্রায় কুড়ি ফুট খাদে একটি গাছে আটকে রয়েছে গাড়িটি ।
গাড়িটি দেখার পর স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। প্রায় তিন ঘন্টার চেষ্টায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভেতর থেকে একজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে বাঘমুণ্ডির পাথরডি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।