কী ঘটনা?
ব্রিজের রঙ বদল ঘিরে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে রাজনৈতিক তরজা বাঁকুড়া জেলায়। বাঁকুড়ার শহর লাগোয়া জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত গন্ধেশ্বরী ব্রিজ। ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপরে গন্ধেশ্বরী নদীর ব্রিজের রং নীল-সাদা থেকে বদলে করা হচ্ছে সাদা-কালো। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক চাপানউতর। এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?
বিজেপি বিধায়ক ও সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘ এতদিন দিদি কেন্দ্রের টাকা খরচ করে নিজের বড়াই করতে নীল-সাদা রং করে মানুষকে ধোকা দিয়েছেন। এবার দিদি বুঝতে পারবেন। সমস্ত ব্রিজের রং নীল-সাদার পরিবর্তে সাদা-কালো করা হবে। সেটাই করা হচ্ছে। তৃণমূল রঙের রাজনীতি করে, ইডি-সিবিআই নিয়ে রাজনীতি করে।’
বিজেপি বিধায়কের বক্তব্যে পালটা প্রতিক্রিয়া দিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছেন কি না, সেটা বাংলার মানুষ জানে। ২০২১-র নির্বাচনে সেই জবাব মানুষ দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মানুষ জবাব দিয়েছেন। মানুষ উন্নয়ন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে। ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। বিজেপি রঙের রাজনীাতি করে, আমরা উন্নয়ন করি। ভোট এলে বিজেপি পরিযায়ী পাখির মতো বাইরে বেরিয়ে পড়ে। বাঁকুড়ায় বিজেপি দুই সাংসদ রয়েছেন, তাঁরা কী কাজ করেছেন সেটা মানুষ জানেন।’
যদিও এই রঙ পরিবর্তন কেন তা নিয়ে কোন প্রশাসনিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় সড়ক ঠিকাদার সংস্থার দাবি জাতীয় সড়কের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্রিজের উপরে রেলিংয়ের রং সাদা-কালো করা হচ্ছে। তোরণের নীল-সাদা রং থাকবে। রেলিংয়ের ধারে হলুদ-কালো রং করা হবে।