Covid Update : ৪ মাস পরে করোনায় ফের মৃত্যু কলকাতায় – after 4 months another death due to coronavirus in kolkata


এই সময়: প্রায় চার মাস পরে ফের করোনায় মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ্যে এল বাংলায়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টালের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারাও একান্তে মেনে নিয়েছেন এই মৃত্যুর কথা। সূত্রের দাবি, একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে মূলত নানা কো-মর্বিডিটির কারণে। তিনি নিউমোনিয়াতেও ভুগছিলেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যে মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জন সুস্থও হয়ে উঠেছেন। এই দফায় যেহেতু এখনও করোনার সংক্রমণের ধাঁচ একেবারেই আগ্রাসী নয়, তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশে একদিনে কোভিড পজ়িটিভ হয়েছেন ৬৮২ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ কেরালা ও কর্নাটকে। সারা দেশে মারা গিয়েছেন মোট ৬ জন। এর মধ্যে দু’জন মহারাষ্ট্রের এবং একজন করে কেরালা, কর্নাটক, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তবে এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ প্রজাতির খোঁজ মেলেনি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি দফায় দ্বিতীয় বারের জন্য আগামী ২ জানুয়ারি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পজ়িটিভ সোয়াব নমুনা পাঠানো হবে কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে।

সাতটি নমুনা আপাতত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে সংরক্ষণ করা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওই মৃত ব্যক্তির নমুনাও। সংখ্যাটা আগামী দিনে বাড়তেও পারে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্যভবনের এক পদস্থ আধিকারিক জানাচ্ছেন, যে ১০ জন অ্যাক্টিভ রোগী বর্তমানে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চার জন হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন মাস ছয়েকের এক শিশুও রয়েছে।

সে মেনিনজাইটিস এবং এনকেফেলাইটিসে ভুগছে। আপাতত ভেন্টিলেশনে রয়েছে সে। বাকি তিন ষাটোর্ধ্ব রোগীর মধ্যে রয়েছেন একজন হৃদরোগী, একজন নিউমোনিয়ার রোগী ও একজন ম্যালেরিয়া রোগী। এই তিনজনেরই রয়েছে একাধিক কো-মর্বিডিটি। যদিও আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর স্বাস্থ্য সূত্রে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলাগুলিকে আরও বেশি করোনা পরীক্ষা করার উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। করোনা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গের পাশাপাশি যদি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকে, তা হলে অবশ্যই কোভিড টেস্ট করতে বলা হয়েছে। পজ়িটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং-ও হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এখনও কোনও করোনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি ঠিকই।

JN 1 Covid Cases : একাধিক রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ! কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের চিত্র বাংলায় কেমন?
তবে কেন্দ্রীয় গাইডলাইন মেনে উৎসবের মরশুমে ভিড় এড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছে আমজনতাকে। দন্তরোগ ও বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞদের রোগী দেখার সময় ফের মাস্ক পরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সেই কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে। বলা হয়েছে, হাসপাতাল হোক বা বাড়ি, পজ়িটিভ রোগীদের আইসোলেশনে থাকার পুরোনো পরামর্শই বহাল থাকছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *