শনিবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করেছে। আর এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে আরও এক দফায় হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিম এবং দার্জিলিঙের অত্যন্ত উঁচু এলাকায়।
নতুন বছরের শুরুতেই পাহাড়ে যে সমস্ত পর্যটকরা বেড়াতে গিয়েছেন তাঁদের জন্য সুখবর। জানা গিয়েছে, হালকা তুষারপাত হতে পারে সান্দাকফু সহ দার্জিলিঙে। এছাড়াও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকা। রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে এই বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ বছরের শেষে পাহাড় পর্যটকদের জন্য ‘স্বর্গ’ হতে চলেছে। এর মধ্যে এই বৃষ্টি ও তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা।
সিকিমে তুষারপাতের প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের অপেক্ষাকৃত উপরের পার্বত্য এলাকায়। উল্লেখ্য, এই সময় দার্জিলিঙের আনন্দ উপভোগ করার জন্য সেখানে গিয়েছেন বহু পর্যটক। গত কয়েক বছর ধরে করোনার কোপে রীতিমতো উৎসবের আমেজ মাটি হয়েছে। পর্যটনস্থলগুলিও ধুঁকছিল।
কিন্তু, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে পাহাড় থেকে সমতল। ব্যতিক্রম নয় দার্জিলিঙও। চলতি বছর শীত পড়ার পর থেকেই সেখানে রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। বর্ষবরণের আগে পাহাড়ের ৯০ শতাংশ হোটেলেই বুক, এমনটাই জানা যাচ্ছে। আর সাধারণ পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা হতে পারে তুষারপাত। অনেকে সেই প্রত্যাশা নিয়েই গেছেন পাহাড়ে। আবহবিদদের প্রাথমিক পূর্বাভাস মোতাবেক, তাঁদের হতাশ করবে না আবহাওয়া।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে দৃশ্যমানতা। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই আপাতত তাপমাত্রার বড় কোনও হেরফেরের সম্ভাবনা নেই।
অর্থাৎ বর্ষবরণের জন্য যাঁরা দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন তাঁদের পোয়া বারো। তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। ঊর্ধ্বমুখী থাকবে তাপমাত্রার পারদ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের উপরে।