Dilip Ghosh : ‘তৃণমূলের রাশ ভগবানের হাতে,’ কোর কমিটি নিয়ে খোঁচা দিলীপের – bjp leader dilip ghosh has criticised tmc about their internal clash


‘তৃণমূলের রাশ কারও হাতে নেই, ভগবানের হাতে, যতদিন চলছে চলছে, যেদিন শেষ হয়ে যাবে চলে যাবে। ডাকাতদের দল, তার আবার রাশ কী!’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেগঙ্গার সভা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের প্রক্ষিতে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে হাওড়া কার্নিভ্যানকে ঘিরে রাজ্যের শাসকদলের অভ্যন্তরে যে পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে, তাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিলীপ।

তৃণমূলের অভ্যন্তরে নবীন ও প্রবীণদের একাংশের মধ্যে কি দ্বন্দ্ব রয়েছে? রাজনৈতিকমহলে এই প্রশ্ন বিগত বেশকিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, ‘ছাত্র-যুবদের গুরুত্ব দিয়ে দলে নিয়ে আসতে হবে, কিন্তু সিনিয়রদের যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, আর নতুন চাল আগে বাড়ে। দু’টো চালই দরকার। পুরনোদেরও দরকার, নতুনদেরও দরকার, পুরুষ-মহিলা, ভাই-বোন সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’ রাজনৈতিকমহল মনে করছে, এর মধ্যে দিয়ে আসলে নবীন-প্রবীণদের একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করারই পরামর্শ দিলেন মমতা।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে বয়সটা তাঁর কাছে রাজনীতিতে থাকার মানদণ্ড নয়। এই প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে মমতা বলেছিলেন, ‘সৌগতদা খালি বলেন, বয়স হয়ে যাচ্ছে। আরে বয়স আবার কী! মনের বয়সটাই আসল।’ কিন্তু তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আবার বলতে শোনা যায়, ‘কেউ যদি ভাবেন দেহত্যাগ না করলে পদত্যাগ করবেন না, তা হলে দলটা ক্রমশ সিপিএমের বৃদ্ধতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে।’ এই প্রসঙ্গে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি মনে করেন, অন্য সব পেশার মতো রাজনীতিতেও অবসরের বয়স থাকা উচিত। সেটা ৬৫ বছর হওয়া উচিত। তবে রাজনীতিতে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু দেগঙ্গার সভায় দেখা গেল নবীন-প্রবীণ উভয়ের কথাই বললেন মমতা।

Trinamool Congress : ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’, বয়স বিতর্কের মধ্যেই স্পষ্ট বার্তা মমতার
একইসঙ্গে ওই সভা থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় দলীয় সংগঠন পরিচালনার জন্য একটি কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে। এছাড়াও কমিটিতে রাখা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, রথীন ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিক, রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, রফিকুর রহমান, এটিএম আব্দুল্লাহ, সুরজিৎ বিশ্বাস, মমতাবালা ঠাকুর, তাপস রায়, বীণা মণ্ডল, হাজি নুরুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দাস, নারায়ণ গোস্বামী, সুকুমার মাহাতো, গোবিন্দ দাস ও তাপস দাশগুপ্তকে। এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হয়, কমিটিতে যেমন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়ের মতো প্রবীণ নেতা রয়েছেন, তেমনই পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসুর মতো অপেক্ষাকৃত নবীন নেতারাও স্থান পেয়েছেন। লোকসভার আগে তৃণমূলনেত্রী কার্যত এভাবেই দলের অভ্যন্তরীণ ‘কোন্দল’ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মত রাজনৈতিকমহলের একাংশের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *