Manik Sarkar On Mamata Banerjee : ‘আগে ভোট, পরে প্রধানমন্ত্রী’, ইন্ডিয়ার ‘মুখ’ নিয়ে রাজ্যে এসে মমতার বিরোধিতা মানিকের – manik sarkar former chief minister tripura opposed mamata banerjee over prime minister candidate selection


আগে ভোট, পরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। সিপিএম এই পথেই হাঁটতে আগ্রহী। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মুখ বেছে নিতে উৎসুক নন তাঁরা। রাজ্যে এসে সেই বার্তা দিয়ে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাম নেতা মানিক সরকার। নাম না করে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাবের বিষয়টিকে বিরোধী জোটে ‘জল ঢেলে দেওয়ার’ নামান্তর বলে দাবি তাঁর।

ভোটের আগে কেন প্রধানমন্ত্রী মুখ?

বর্ধমানে সংস্কৃত লোকমঞ্চে কমরেড নিরুপম সেনের স্মরণসভায় হাজির ছিলেন মানিক সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট হয়ে চলার বার্তা শোনা যায় তাঁর মুখে। তবে তাঁর মাঝেই নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মুখ বেছে নিতে বামেরা ‘না পসন্দ’ সেটা বুঝিয়ে দেন মানিক।

কী বললেন মানিক?

এদিন মানিক বলেন, ‘ কীসের প্রধানমন্ত্রীর মুখ? আমরাই তো ঠিক করেছি আগে ভোট হোক, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করি। তারপর আমরা সবাই মিলে বসে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করব। তাহলে এই প্রশ্নটা এখানে আসছে কেন? কী হচ্ছে এটা? এটা এটা ঠিক নয়। জল ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’ প্রকারান্তরে, তৃণমূল কংগ্রেস এই জোটের অভিমুখ কিছুটা বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেই দাবি মানিক সরকারের।

তৃণমূলের সমালোচনা

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না উল্লেখ করে মানিক বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের মিটিং চলাকালীন হঠাৎ করে কোনও একজন নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখটা আজকে ঠিক করে ফেলা দরকার বলে প্রধানমন্ত্রী নাম হিসেবে খাগড়ে নাম প্রস্তাব করে দিলেন। তাঁর পরিচয় হচ্ছে তিনি দলিত অংশের লোক। ভালোই হবে ভারতবর্ষের কোনও প্রধানমন্ত্রী দলিত সম্প্রদায় থেকে হয়নি। কিন্তু খাগড়ে বললেন আমি দলিত অংশের মানুষ হতে পারি কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমি এই আইডেন্টিটি নিয়ে যাই না এটা আমার ব্যক্তিগত। তাই আমি সমস্ত অংশের মানুষের জন্য কাজ করছি এইভাবে আমাকে দেখা ঠিক নয়।’

Mamata Banerjee : ভারতে ‘ইন্ডিয়া’ ই বঙ্গে লড়বে তৃণমূল
এই পদক্ষেপ যে আগামী দিনে জোট ভেঙেও দিতে পারে, সে ইঙ্গিত শোনা যায় তাঁর মুখে। মানিক বলেন, ‘২৮ দলকে একটা জায়গায় আনা এটা যেমন লড়াইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে একটা জায়গায় এসছে, তেমনি ২৮ জনকে একটা জায়গায় রাখা এটাও একটা লড়াই।’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট হলেও রাজ্যে যে তাঁরা কোনওভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা যাবেন না সেটা একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যের বাম নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রের প্রকাশ্যে এই মত পার্থক্য যে আদতে বিজেপিকে অনেকটা অক্সিজেন জোগাচ্ছে সেরকমটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *