কোথায় হবে এই অনুষ্ঠান?
অযোধ্যার পাশাপাশি সাজছে রেল শহর খড়্গপুরের শতবর্ষ প্রাচীন রাম মন্দির। আগামী ২২ শে জানুয়ারি সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে হবে রামের আরাধনা। মহোৎসবের আয়োজন চলছে জোর কদমে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা! অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দির। সেজে উঠছে অযোধ্যা। তবে শুধু অযোধ্যাই নয় উৎসবের প্রহর গুনছে রেল শহর খড়গপুরও।
কী প্রস্তুতি?
আগামী ২২ শে জানুয়ারি যখন অযোধ্যায় রামলালার স্থাপনা হবে ঠিক তখন উৎসবের আবহে মাতবে খড়্গপুরের গোলবাজারে শতবর্ষ প্রাচীন রাম মন্দির। মন্দিরের রামসেবকদের কথায় বাইশে জানুয়ারি অকাল দিপাবলী হতে চলেছে রাম মন্দিরে, সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে আরাধনা করা হবে রামের। থাকছে কয়েক হাজার মানুষের অন্নকুটের ব্যবস্থা। ৫৬ ধরনের ভোগ নিবেদন করা হবে প্রভু শ্রীরামকে। অখন্ড রামায়ণ পাঠ করা হবে মন্দিরে। হবে মহাযজ্ঞ।
এখন থেকেই ধীরে ধীরে সেজে উঠছে খড়গপুর শহরের অতি প্রাচীন এই রাম মন্দির। ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয় খড়গপুর শহরের এই রাম মন্দিরের। অযোধ্যার ধাঁচেই প্রভু শ্রী রামের পাশাপাশি এই মন্দিরে পূজিত হন গণেশ, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, আরাধনা হয় মহাশক্তির। নিত্যদিন এই রাম মন্দির-এ ভিড় জমান বহু মানুষ। রেল শহরের মানুষ তো বটেই মন্দির দর্শনে আসেন ভিন রাজ্যের ভক্তরাও।
অযোধ্যার মন্দিরের প্রস্তুতি
রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠানের দিনের অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যেই দেশের বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার জনকে আমন্ত্রিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশিষ্ট সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পৌষ মাসের শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার নতুন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা এবং পুজো করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাম মন্দিরে থাকবে বিশেষ তিন বিগ্রহ। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে শেষ মুহূর্তের।মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতি, অন্যান্য মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও।