কী ঘটনা?
জানা গিয়েছে, যুবককে গ্রেফতারির পর পুলিশকর্মীরা দেখেন, ডানহাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ পুলিশ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় সংবাদমাধ্যমকে ওমপ্রকাশ বলেন, ‘বউদি আমার উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিল। সেই সময় ধস্তাধস্তিতে বউদির ছুরির ঘায়ে আহত হন এবং তাঁর মৃত্যু হয়।’ যদিও জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মণি দেবীর শরীরে প্রায় সব জায়গায় একাধিক ক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে তার মুখের আঘাত সবচেয়ে বেশি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারো আগে দিলদার নগর লাগোয়া নয়া বস্তির বাসিন্দা মণিদেবীর সঙ্গে এলাকার বাসিন্দা মন্টু মন্ডলের বিয়ে হয়েছিল। মনি দেবীর বাবা ও মা নেই। তিনি কাকা কাকিমার কাছে মানুষ হয়েছেন। মন্টু ও মণির পাঁচ সন্তান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার তাঁর স্বামী কর্সসূত্রে কলকাতায় যান।
পড়শিদের অভিযোগ, এদিন বিকেলে বাড়ির মধ্যেই মণির উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন তাঁর দেওর ওমপ্রকাশ। সেই সময় মণি দেবীর সঙ্গে দু’বছরের ছোট ছেলে ছিল। শাশুড়ি সীতা দেবী বাইরে ছিলেন। পড়শিদের আরও অভিযোগ, তাঁরা চিৎকার শুনে বাড়ির মধ্যে ঢোকেন ততক্ষণে দেওর পালিয়েছে। গৃহবধূ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বিছানায় পড়েছিলেন।
পড়শিরা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ পৌঁছায়। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করা অভিযুক্ত দেওরকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়ে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা জেলা হাসপাতালে আসেন। সেই সময় তারা সেখানে থাকা মনি দেবীর শাশুড়ি সীতা দেবীর উপরে ক্ষোভ উগড়ে দেন। মৃতার কাকিমা ববিতা দেবী রাউত বলেন, ‘য়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মণির উপর অত্যাচার করত। মাঝে সে বাপের বাড়ি চলে আসত। কিছুদিন আগে ওঁর স্বামী তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। গত কয়েক দিন ধরে আবার অশান্তি হচ্ছিলো। তারপর এই ঘটনা। খবর পেয়েছি ওর দেওর ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। আমরা সবার শাস্তি চাই।’