গত ৩১ জুলাইয়ের নির্দেশিকা মেনে অগ্নিসুরক্ষার শংসাপত্র, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা এবং শিক্ষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দেওয়ার নথি জমা দিতে হবে কলেজগুলিকে। ছ’দিনের মধ্যে সেই সব নথি খতিয়ে দেখে অনুমোদন পুনর্নবীকরণের আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ চলছে। এই পরিস্থিতিতে নতুনদের নাম না দিয়ে তালিকায় রাখতে হবে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের উল্লেখ। তবে সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজগুলির সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন ফোরাম’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের বক্তব্য – বিএডে দু’বছরের কোর্স চালু হয়েছে।
তাই ২০২৩-২৪ নয়, শিক্ষাবর্ষ হতে পারে ২০২৩-২৫ বা ২০২৪-২৬। চলতি শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে এমন নোটিস ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেও তাদের দাবি। বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বুধবারই আচার্য-রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় এডুকেশন ফোরাম। কারও কারও মতে, এই পরিস্থিতিতে আচার্যের নির্দেশ উল্লেখ না করে মান বাঁচাতে এখন ঘুরপথে ওই নির্দেশিকা দিয়ে থাকতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চিঠি পৌঁছয় বলে খবর। এ ব্যাপারে জানতে রাজ্যপাল-অথরাইজ়ড ভিসি সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলেও জবাব মেলেনি। রেজিস্ট্রারও ফোন ধরেননি। ফোরামের সভাপতি মলয় পিট বলেন, ‘যন্তরমন্তরে ৮ জানুয়ারি দুপুর দুটো থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্নায় বসার জন্য দিল্লি পুলিশের সম্মতি পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করার সময়ও চাওয়া হয়েছে।’