কী জানা যাচ্ছে?
শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নিচতলা থেকে উদ্ধার মহিলার গলা কাটা দেহ ও এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা মুখোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের থেকে নিচতলার ঘরের মধ্যে থেকে সাগর মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির ও তার স্ত্রী দেহ উদ্ধার করে। কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে কী খবর?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের স্ত্রীর গলা কেটে খুন করার পর কন্যা সন্তান গলা কাটে ওই ব্যক্তি। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন এরকমটাই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যান।
স্থানীয় বিধায়ক কী জানালেন?
বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে গলা কেটে খুন করেন এবং সন্তানেরও গলা কাটেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরেই ওই ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সাগর মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে তাঁর পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুখী পরিবার হিসেবেই তাঁরা দেখেছেন মুখোপাধ্যায় দম্পতিকে। সাগর মুখোপাধ্যায় পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী বলেই জানা যাচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার কী জানালেন?
বিধাননগর পুলিশের কমিশনার গৌরব শর্মা এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে পরিবারের আর্থিক অনটনের বিষয় উঠে এসেছে। তারা সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে বিষয় আরও পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি। তবে গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মিশুকে পরিবারের এহেন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই।