সিঁড়ির পাশে দেওয়ালে হিন্দু, মুসলিমসহ সর্বধর্মের ঈশ্বরের ছবি দেওয়া টাইলস বসানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, ঝাঁ-চকচকে হাসপাতালে অসচেতন বেশ কিছু রোগীর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজনের জন্য নোংরা হচ্ছে। সিঁড়ির দেওয়ালে থুতু, পান ও গুটখার পিক ফেলে হাসপাতালে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। একে একদিকে যেমন লাল পিক জমে হাসপাতাল নোংরা হচ্ছে, তেমনই রোগ-জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিচ্ছন্নতার বার্তা দিয়ে নোটিশ টাঙানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। সচেতনবার্তার নোটিশকেও মুছে দেওয়া হয়। নোটিশের লেখাও বিকৃত করা হয় বলে অভিযোগ। দেওয়াল থেকে পানের পিক পরিষ্কার করতে হয়রান হতে হয় হাসপাতালকে। ঘন ঘন দেওয়াল রং করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিনিয়ত ওই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সেই কারণে ঈশ্বর-আল্লার দ্বারস্থ হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পেতে
শেষমেশ ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা। সিঁড়ির যে অংশ গুলিতে দেবদেবীর টাইলস লাগানো হয়েছে সেখানে আপাতত থুতু ও পান-গুটখার পিক ফেলা বন্ধ হয়েছে বলে খবর। তবে যে দেওয়ালে এখনও ঈশ্বরের টাইলস নেই, সেই সব জায়গা দেদার অপরিষ্কার করা হচ্ছে।
দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনুরাধা মিত্র বলেন, ‘থুতু থেকে কী ভাবে জীবাণু ছড়াতে পারে কোভিডের সময় আমরা দেখেছি। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অনেকেই হাসপাতাল চত্বর নোংরা করেন। বারবার বলেও শোনেন না। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে হ্যাঁ। এই উদ্যোগ নিয়ে লাভ হয়েছে এটা ঠিক। বাকি জায়গাগুলির জন্য বিকল্প ভাবনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’