Primary Teacher Recruitment : নতুন বছরের আগেই সুখবর, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ১৯৫০ – purba medinipur primary education board recruit 1950 head master


বেশ কিছু জটিলতার জন্য রাজ্যের পাশাপাশি জেলায় জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু, এবার নতুন বছরে জেলায় ১৯৫০ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করা হল। এই শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হল প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, বিভিন্ন কারণে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তার মাঝে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককের শূন্যপদগুলি পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফায় এবং ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় দফার নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীদের। জেলায় মোট ১৯৫০ জনের হাতে প্রধান শিক্ষককের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মহিষাদল পূর্ব ও এগরা ওয়েস্ট চক্রে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। আইনি জটিলতার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। সেই জটিলতা কাটলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হবে।

বর্তমান সময়ে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। তার মাঝে এই ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও আশা জোগাবে বলে মনে করছেন আবেদনকারীরা। এখন দেখার সাম্প্রতিক TET পরীক্ষা প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ধীরে ধীরে জেলাগুলিতে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকদের শূন্যপদ যাতে পূরণ হয় সেই লক্ষ্যে করা হচ্ছে পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই বীরভূম জেলাতেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা যাবে আবেদন।

বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি। শেষবারের মতো ২০১৪ সালে সংশ্লিষ্ট জেলায় নিয়োগ করা হয় প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ করা হবে। গঠন করা হবে প্যানেল এবং এরপর কাউন্সেলিংয়ের মধ্য দিয়ে হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ।

Teacher Recruitment : ১৬ জানুয়ারি আবেদনের শেষ দিন! বীরভূমে ১৫০০-র বেশি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সময়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আর ও অনেকে। এরপর বিভিন্ন সময় এই ইস্যুকে সামনে রেখে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।
এখন স্বচ্ছভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *