Purulia Tourism : শীত কিংবা বসন্ত, আপনার ডেস্টিনেশন অফবিট পুরুলিয়া – winter or spring your tour destination is offbeat purulia


সঞ্চিতা মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া

গয়ালিকচা, হদহদি, মাছকাঁদা, ঠাকুরডুংড়ি গুহার নাম শুনেছেন? জানেন এই জায়গাগুলো কোথায়? অচেনা ঠেকছে? লালমাটির দেশ পুরুলিয়ায় তো এসেছেন বহুবার কিন্তু, এমন সব নাম শোনেননি, তাই তো? তাহলে আপনার বাকেট লিস্টে অবশ্যই এই জায়গাগুলো যোগ করে নিন। ফের পুরুলিয়া এলে আপনাকে কিন্তু এই জায়গাগুলোয় যেতেই হবে। না হলে মিস করবেন।

আপনি বামনি ফলস গিয়েছেন, ময়ূর পাহাড়, মার্বেল, আপার-লোয়ার ড্যাম সবই ঘুরেছেন। এবার চলুন অফবিট পুরুলিয়ায়। এই শীতে নতুন জায়গাগুলো সুপার হিট। ফলে দেরি না করাই ভালো। অযোধ্যা পাহাড়ের নিবিড় অরণ্য আর পাহাড়শ্রেণির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে পর্যর্টনের এই সব মণি-মুক্তো। সে সব ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য গাইডও রেডি।

অযোধ্যা পাহাড়ে দীর্ঘ দিন ধরে গাইডের কাজ করে আসছেন রঞ্জিত মাহাতো। মোটরবাইকে তিনি পর্যটকদের নিয়ে যাচ্ছেন অফবিট জায়গাগুলোতে। এবার বড়দিনের সময়ে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রঞ্জিত। ‘বড়দিনের আগে থেকেই অযোধ্যা পাহাড়ে অসম্ভব ভিড় হচ্ছে। যেন মেলা বসে গিয়েছে। কিন্তু, নির্জনে একটু সময় কাটানোর জো নেই। এত ভিড় সবার ভালো লাগে না। তাই অফবিট জায়গাগুলোয় যেতে চাইছেন বেশির ভাগ পাহাড়প্রেমী।’

তবে এই সব জায়গায় গাড়ি যায় না। মোটরবাইকে গেলেও শেষের পথে ভরসা নিজের দু’পা। কিছুটা ট্রেক করে একবার পৌঁছে গেলে আপনার সামনে ভার্জিন প্রকৃতি। তখন চুপটি করে বসে সময় কাটানো। অযোধ্যা পাহাড়ের কোণে কোণে ছড়িয়ে থাকা গয়ালিকচা, ঘাঘকচা, বাড়েদি হদহদি, মাছকাঁদা বা পিটিদিরির ঝর্না দেখতে রীতিমতো ট্রেক করে পৌঁছে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

কলকাতার বাঁশদ্রোণীর অনির্বাণ মিত্র বলছেন, ‘প্রথম থেকেই আমরা অফবিট জায়গা দেখব বলে ঠিক করেছিলাম। এখানে এসে খোঁজ নিয়ে চলে যাই অযোধ্যা পাহাড়ের এক প্রান্তে থাকা গয়ালিকচায়। এখানকার ঝর্নার খবর এখনও বেশির ভাগ লোক জানেন না।’ নিউ টাউনের সায়ন্তী বসু বলেন, ‘অযোধ্যার এই অংশের সৌন্দর্য দেখে আর কোথাও যাওয়ার ইচ্ছেই হয়নি।’

চড়া প্লেনভাড়ার ধাক্কায় ব্যাকফুটে রিভেঞ্জ ট্যুরিজ়ম
অযোধ্যা পাহাড়ের আর এক গাইড রমেশ মাহাতো জানাচ্ছেন, এই ডিসেম্বরে মোটরবাইকে তিনি অন্তত ৫০ জনকে অফবিট জায়গাগুলোয় নিয়ে গিয়েছেন। পর্যটকরা সবাই দারুণ খুশি। বলেন, ‘মোটরবাইকে অফবিট জায়গা ঘুরতে এক থেকে দু’দিন সময় লাগে। দিন প্রতি খরচ আটশো টাকা। তেলের দাম আলাদা।’ মোটরবাইকেই অফবিট জায়গাগুলো ঘুরেছেন মেচেদার সৌমেন রায়। বলেন, ‘নতুন অভিজ্ঞতা। এর তুলনা হয় না।’

জেলা প্রশাসন থেকেও অফবিট জায়গাগুলো নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা-ভাবনা। এলাকাগুলোয় পৌঁছনোর সুবিধার সঙ্গে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছে প্রশাসন। জেলার অফিসার ইন-চার্জ (ট্যুরিজম) এএম ওয়ালিউল্লাহ বলছেন, ‘ট্রেকিংয়ের দিকে ঝোঁক বাড়ছে পর্যটকদের। অফবিট স্পটগুলিতে ট্রেকিং নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। এলাকাগুলিতে হোম স্টে বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *