সিপিএমকে কটাক্ষ শশীর
আগামী লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী তালিকায় ৮০ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম। এর ফলে কী ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিএমের অবস্থান প্রথম থেকে অস্বচ্ছ। ২০১১ সালের আগে অবধি রাজ্যে বামপন্থীরাই ক্ষমতায় ছিলেন। সেই সময় যাঁরা খুনে হয়েছিলেন, তাঁরা কি ন্যায় পেয়েছেন? সেটা নিয়ে বামপন্থীদের কী বক্তব্য? কোনওদিন তাঁরা ক্ষমা চেয়েছেন? বা তাঁদের অনুশোচনা হয়েছে? ইন্ডিয়া জোটে বামপন্থীরাও রয়েছেন। সেখানে তাঁদের অবস্থান কী? সেটা পরিষ্কার করতে হবে।’
শশী আরও বলেন, ‘সিপিএমের সিনিয়ররা এখন জুনিয়রদের এগিয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের নামে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বামপন্থীদের ইতিহাস কারও অজানা নয়। সন্ত্রাস ছিল বামপন্থীদের আদর্শ। বাংলার মানুষ তা জানে। জুনিয়ররা এখন কী ভাবছে মানুষ তা জানতে চাইবে নিশ্চয়ই। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে অ্যাটাক করব, কেরালায় কংগ্রেসকে অ্যাটাক করব। এমন করলে আদতে কার হাত শক্ত হবে? সাগরদিঘি বা ধূপগুড়ির মতো বাংলার উপ নির্বাচনে দেখলাম, তিন দল মিলে (কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম) মিলে একটা অশুভ আঁতাত তৈরি করেছে। বামপন্থীদের এত ভোট বিজেপিতে কী ভাবে গেল? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিতে হবে।’
মোদীকে নিশানা শশীর
এদিন অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘মোদি গ্যারান্টি যা দেবে তা পূর্ণ হবে’। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকেও কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর তো নিশ্চয়ই দায়িত্ব আছে। তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪-এর নির্বাচনের পর কী হবে সেটা পরের কথা। সেটা দেশের মানুষ স্থির করবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের গ্যারান্টি দেবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো রাজ্যের গ্যারান্টি দেবেন। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু প্রত্যেকটি রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সুসম্পর্ক থাকে না কেন? কেন কিছু কিছু রাজ্যের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়? এটাও তো প্রধানমন্ত্রীর দেখা উচিত। গ্যারান্টি দেওয়া উচিত।’
