নৈহাটি পুরসভার বিধায়ক কক্ষে বিশেষ বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের থাকার কথাও রয়েছে। মূলত সাংসদ বিধায়ক তরজা মেটাতে এই বৈঠক বলেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় নৈহাটি পৌঁছন সুব্রত বক্সী। বৈঠকে থাকতে পারেন নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি জানান, সুব্রত বক্সী নৈহাটি উৎসবে আসার কথা জানিয়েছিলেন। তার মাঝেই নৈহাটি পুরসভা ঘুরে গেলেন। এর বাইরে আমাদের কারও মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
গত ২১ নভেম্বর ভিকি যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয় ভাটপাড়ায়। তারপর থেকেই অর্জুন সিং বনাম সোমনাথ শ্যাম দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা নিয়েছে রাজ্য রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ফাটল কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে লড়াই থামাতে আসতে নামতে হবে সুব্রত বক্সীকে বলে আগেই খবর ছিল।
বিধায়ক সোমনাথ তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অর্জুন সিং জড়িত বলায় বিতর্কের সূত্রপাত। কয়েকদিনের মধ্যে বিতর্ক চরম আকার ধারণ করে। ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সংগঠন দেখার জন্য নির্দিষ্ট কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন দলনেত্রী। তার মাঝেই যুযুধান এই নেতার লড়াই থামাতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্ততপক্ষে, লোকসভা নির্বাচন যখন দোরগোড়ায় তখন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মিটিয়ে হাত ধরে লড়াইয়ের ব্যাপারেই এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি বলেই খবর তৃণমূল সূত্রে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট না পেয়ে গোঁসা করে দল ছাড়েন শিল্পাঞ্চলের নেতা অর্জুন সিং। এরপর সেই বছর বিজেপির থেকে টিকিট পেয়ে লোকসভায় ব্যারাকপুর আসনটি জিতে নেন অর্জুন। পরে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ফের ঘর ওয়াপসি হয় অর্জুনের। এমত অবস্থায়, পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস।