কী ঘটনা?
রামনগর নন্দিনী মেলায় ‘কালো মেয়ের কান্না’ নাটকে অভিনয় করে সমাজকে বিশেষ বার্তা জেলা পরিষদের সদস্যা শম্পা মহাপাত্র। এক হাতে প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলান শম্পা। ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে দিন। অন্যদিকে যাত্রা ও নাটকের মঞ্চে অভিনয়। তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যকে এই ভূমিকায় দেখে অবাক অনেকেই।
রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্যা শম্পা মহাপাত্রর অভিনয়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছে দর্শক থেকে শুরু করে নেতামন্ত্রীদের মুখে। কখনও তিনি মা, কখনও তৃণমূলকর্মীদের দিদি। আবার কখনও দক্ষ প্রশাসক। এহেন শম্পাকে নাটকের মঞ্চে দেখে বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই।
বর্তমান সমাজে নারীরা কোথাও কোথাও অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হন। মেয়ের গায়ের রঙের কারণে তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকের অপমান সহ্য করতে হয় দিনের পর দিন। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই শুনতে পাওয়া যায়। ‘কালো মেয়ের কান্না’ সমাজের সেই বাস্তব চিত্রকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল মঞ্চে। নন্দিনী মেলায় কয়েক হাজার দর্শনের সামনে মঞ্চস্থ হয় ‘কালো মেয়ের কান্না’ নাটক। সকলেরই এই নাটকের প্রশংসা করেছেন।
নাটক দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। দলের জেলা পরিষদ সদস্যকে এই ভূমিকায় দেখে খুশি তিনি। অখিল বলেন, ‘অভিনয়ের মাধ্যমে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা যায়। এই নাটকের মাধ্যমেক তা তুলে ধরা হয়েছে। নাটক দেখে আমার খুবই ভাল লেগেছে। শম্পাও দারুণ অভিনয় করেছে। ওঁকে আমার শুভেচ্ছা রইল।’
কী বললেন শম্পা?
জেলা পরিষদ সদস্য শম্পা বলেন, ‘কোনও মেয়ের গায়ের রং কালো হলে সমাজ তাঁকে ঘেন্নার চোখে দেখে। কালো হলেও তাঁরা মানুষ, সব কাজে পরিপূর্ণ। এই নাটকের মধ্যে সমাজের প্রতি বিশেষ বার্তা রয়েছে। রাজনীতি ও জেলা পরিষদের কাজ থাকে। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হয়। সেই চেষ্টাই করেছি। কাজের মাঝেও নিজের জন্য সময় বের করা দরকার।’