দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে ওই পদে সম্ভাব্য তিনটি নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে তাঁদের বায়োডেটাও। একাধিক সম্ভাব্য নেতার মধ্যে কোন তিনজনের নাম বন্ধ খামে দিল্লি পাঠানো হবে, তা নিয়ে বঙ্গ-বিজেপিতে মতপার্থক্য আছে। তবে একটি বিষয়ে পদ্মের সব শিবির একমত যে, এমন কাউকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হোক, যাঁর পার্টিতে বহু বছরের অবদান আছে। এবং যাঁর দলবদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে সরিয়ে অনুপমকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হয়েছিল ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর। তা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে শান্ত করতে তৎকালীন রাজ্য বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শিবপ্রকাশকে ছুটতে হয়েছিল রাহুলের বাড়িতে। বিজেপির একাংশের যুক্তি, রাহুল সিনহাকেই ফের কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হোক। তাতে যেমন তাঁকে ‘প্রাপ্য সম্মান’ জানানো হবে, তেমনই লোকসভা ভোটের আগে দলের পুরোনো নেতা-কর্মীদের বার্তাও দেওয়া হবে। দলের অন্য অংশের যুক্তি, এই মুহূর্তে রাহুলের থেকে বঙ্গ-বিজেপিতে অনেক বেশি কার্যকরী নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁরও এই মুহূর্তে দলীয় সংগঠনে কোনও পদ নেই।
তাই বাংলা থেকে কাউকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক করতে হলে দিলীপকেই করা হোক। যদিও তা বিজেপির রীতি বিরুদ্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পদ্মেরই অনেকে। কারণ, দিলীপ এর আগে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদমর্যাদায় সহ-সভাপতির নীচে। বিজেপিতে সাধারণত কাউকে সহ-সভাপতি থেকে সম্পাদক করা হয় না। সেক্ষেত্রে অনুপমের ফেলে যাওয়া চেয়ারে দিলীপের বসার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তা হলে কাকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে প্রজেক্ট করতে চাইছেন সুকান্ত মজুমদাররা? দলেরই একটি সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির এক সাধারণ সম্পাদকের নাম নিয়ে চিন্তাভাবনাও চলছে। রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের কেউ কেউ চাইছেন যে, রাজ্যের ওই সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রীয় নেতা করে দেওয়া হোক লোকসভা ভোটের মুখে। বিজেপির এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি অনুযায়ী সেক্ষেত্রে তাঁকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দিতে হবে। এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার কথায়, ‘হয়তো ওই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে সুকান্তদের। তাই তাঁকে দিল্লি পাঠাতে চাইছেন।’