কী জানা যাচ্ছে?
শনিবার সায়াহ্নে বিতর্কের অবসান করার চেষ্টা করা হয়েছিল দলের তরফে। তবে সেগুড়ে বালি। রবিবার ফের অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। জগদ্দলে ভিকি যাদব হত্যা মামলার পাশাপাশি এবার তিনি টেনে আনলেন আরও এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা। সেই ঘটনায় টেনে আনলেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নাম।
কী বললেন তিনি?
নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত নোয়াপাড়া শহর তৃণমূল সভাপতি গোপাল মজুমদার খুনের ঘটনার ফাইল পুনরায় কেস চালু করে মূল চক্রীকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এছাড়াও একাধিক খুনের হলুদ ফাইল খুলে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর মুখোস খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। আর এই ফাইল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন জগদ্দল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর।
এদিন অর্জুন সিংয়ের নাম না নিয়ে সোমনাথের কটাক্ষ, একদিন সবাইকে সোমনাথ অর্থাৎ শিবের মাথাতেই জল ঢালতে হবে। এখন অর্জুন একদিকে পাণ্ডব, অন্যদিকে কৌরবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ভোটের আগে উনি কোন ডালে গিয়ে বসেন সেদিকে নজর রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার ব্যারাকপুরের বিধায়ক অর্জুন সিং এবং জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের একটি আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠক এড়িয়ে যান সোমনাথ। দলের রাজ্য সভাপতি স্বয়ং সুব্রত বক্সী গতকাল নৈহাটি পুরসভায় হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা। কিন্তু, সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়েই ফিরে যান সুব্রত বক্সী। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের অর্জুনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল সোমনাথকে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে যতদিন যাচ্ছে দলের অস্বস্তি বাড়ছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন অর্জুন। নিজের জোরে আসনটি জিতেও নেন তিনি। তবে ২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর মোহভঙ্গ হলে তিনি ফেরত আসেন তৃণমূলে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে তাঁর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন দলের একাংশ। তার আগে সমস্যা আরও ঘনীভূত হল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।