Bhangar Police Station: কলকাতা পুলিশের অধীনে আসবে ভাঙড়ের ৪ থানা, প্রস্তুতি তুঙ্গে – bhangar 4 police station will come under kolkata police


মঙ্গলবার ভাঙড়ে চারটি থানা আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা পুলিশের অধীনে চলে আসবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই থানাগুলির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। তার আগেই প্রস্তুতি তুঙ্গে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তড়িঘড়ি আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গত চার মাসের পর অবশেষে আগামী ২ জানুয়ারি ভাঙড়ের চারটি থানা কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। ভাঙড় ও উত্তর কাশীপুর থানা ছাড়াও পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানা (এই থানা দুটি নতুন হয়েছে) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

আর এই কারণেই শনিবার রাতেই ভাঙড়ের চারটি থানাতে পুলিশের লাঠি, হেলমেট, ওয়াকিটকি সহ যাবতীয় সরঞ্জাম চলে আসে। ভাঙড়ের জন্য নিযুক্ত ডেপুটি কমিশনার সৈকত ঘোষ নিজে তত্বাবধান করেন এই গোটা কার্যকলাপের। সূত্রের খবর, রবিবার কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল নিজে এই চারটি থানা পরিদর্শনের জন্য যাবেন। পয়লা জানুয়ারি থেকে থানাগুলিতে ঢুকবে ফোর্সও।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। সেই সময় ISF এবং তৃণমূল কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের কথা সামনে আসে। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও অশান্তির ঘটনা থামেনি। এরপরেই ভাঙড়ের আইন শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ ছিল, ছেলে হাকিমুলের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর নেপথ্যে রয়েছে আইএসএফ। যদিও আরাবুলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। একদিকে যখন আরাবুল দাবি করছেন তিনি নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সময় নওশাদ দাবি করেছেন, আসলে প্রচারে ভেসে থাকার জন্য এই সমস্ত পন্থা অবলম্বন করছেন আরাবুল।

Mamata Banerjee SSKM: ‘সময় হয় না, তাই চেকআপে…’, SSKM হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও বারবার আরাবুল প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। তাঁর উপর হামলার অভিযোগও উঠেছিল। সেই সময় তাঁর জন্য দেহরক্ষীও নিযুক্ত করা হয়। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ভাঙড়।

এই অবস্থাতে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সেখানে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *