Picnic In Winter : এবার ‘পিকনিক’-এ বাড়ির গোপাল, কী কী খাওয়া হল জানেন? – special picnic for lord gopal at east burdwan


বহু গৃহস্থ পরিবারের ঠাকুরের আসনে থাকেন গোপাল। পরিবারের সদস্যদের কাছে গোপাল তাঁদের ঘরের ছেলে, কোলের সন্তান। বহু আদর যত্নে রাখেন গোপালকে। নির্দিষ্ট সময়ে গোপালকে ঘুম থেকে তোলা, ভোগ দেওয়া, শয়ন দেওয়া, সবই চলে নিয়মিতভাবে। এমনকী গোপালের জন্য আসে নতুন পোশাকও। তাই ঠাকুরের আসনে থাকলেও গোপাল থাকেন পরিবারের সমস্ত কিছুতেই। সেক্ষেত্রে শীতকালের পিকনিক হবে গোপালকে ছাড়া, তাও আবার হয় নাকি। এবার তেমন এক অভিনব বনভোজন দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানে।

পূর্ব বর্ধমানে লাকুর্ড্ডি জলকল মোড় এলাকার আয়োজিত হল গোপালের বনভোজন মহোৎসব। এলাকার বাসিন্দা তপন সাহার বাড়িতে এই মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে অনেকেই বাড়ির গোপালকে নিয়ে উপস্থিত হন অনেকে। সঙ্গে তলে বিপুল খাওয়াদাওয়া।

এই বিষয়ে গোপালের বনভোজন মহোৎসবের আয়োজন তপন সাহা জানান, ১৫ বছর আগে এটি শুরু হয়েছিল। মাঝে ২ বছর বাদ গিয়েছে। সেই হিসেবে এবারের উৎসব ১৩ বছরে পা দিল। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ রবিরার এই মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। এবার ১০০টি পরিবার তাদের বাড়ির গোপালকে নিয়ে অংশ নেয় মহোৎসবে।

উৎসবে অংশ নেওয়া সমৃদ্ধা সাহা নামে এক তরুণী বলেন, ‘এই ভবনাটা তখন থেকে আসে, যখন মনে হয়, আমরা শীতকালে নিজেদের মতো পিকনিক করতে চলে যাই। কিন্তু বাড়ির আরাধ্য ঠাকুর সিংহাসনে থাকেন। বাৎসল্যরসের ঠাকুর গোপাল, তাঁরও তো মন খারাপ হয়। সেই ভাবনা থেকেই এই উৎসবের সূচনা।’ তিনি জানান, এদিন অন্ন, লাবরা, কচুর শাক, ভাজা-সহ নানা পদ দিয়ে এদিন গোপালকে নিবেদন করা হয়। এছাড়াও ভক্তদের জন্য থাকে খিচুড়ি। শুধু বর্ধমান নয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা, এমনকী কলকাতা থেকেও বহু মানুষ বাড়ির গোপালকে নিয়ে যোগ দেন এই উৎসবে।

প্রসঙ্গত, শীতকাল মানেই পিকনিক, ঘোরাফেরা, খাওয়াদাওয়া, আড্ডাও। প্রত্যেকেই নিজের সুযোগসুবিধা ও বাজেট অনুয়ায়ী পিকনিক ও আড্ডায় অংশ নেন। তারমধ্যে এদিন ছিল বছরের শেষ। তাই মানুষের মধ্যে উৎসাহর অভাব নেই। আর সেই আবহে দারুণ জমে ওঠে এদিনের বনভোজন মহোৎসব। যাঁরা পরিবারের গোপাল নিয়ে এসেছেন তাঁরা তো ছিলেনই, এছাড়াও অংশ নেন স্থানীয়রা। আয়োজকরা বলছেন, এদিন প্রায় ৫০০ মানুষ গোপালের প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে জমে উঠল গোপালের বনভোজন মহোৎসব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *