Piyali Basak Mountaineer : অর্থাভাবে মেলেনি মাকালু-অন্নপূর্ণা জয়ের শংসাপত্র! স্বপ্নপূরণে নতুন পথে পিয়ালী – piyali basak mountaineer given stall at chandannagar book fair for reducing financial problem


মাথায় ৮০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা। অর্থের অভাবে মেলেনি মাকালু, অন্নপূর্ণা জয়ের শংসাপত্র। অর্থ জোগাড়ে এবার চন্দননগর মেলায় স্টল দিলেন পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক। তবে অর্থের প্রতিবন্ধকতাকে আমল দিতে নারাজ মাউন্টেন গার্ল। পরের শৃঙ্গ জয়ের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন জোরকদমে।

স্টলে কী মিলবে?

কী ভাবে পাহাড় চড়তে হয়? তা শেখাতে বইমেলায় স্টল এভারেস্ট জয়ী পিয়ালী বসাকের। পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে কী কী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়? আবহাওয়া কেমন থাকে? কেমন ধরনের পোশাক থাকে? প্রশিক্ষণ কতটা জরুরি, এসব জানাতেই চন্দননগর বইমেলায় স্টল দিয়েছেন চন্দননগরের গর্ব পিয়ালী বসাক। পাশাপাশি,
পাহাড় চড়ার জ্যাকেট, প্যান্ট, জুতো, রুকশ্যাক, ন্যাপশ্যাক রাখা হয়েছে। যদিও, স্টলে পাহাড় চড়ার সামগ্রী বিক্রি আশানুরূপ হল না বলে জানালেন তাঁর বোন।

কেন এমন উদ্যোগ?

মাথার উপর ঋণ ৮০ লাখ টাকা। এখনও টাকা দিতে না পারায় মেলেনি মাকালু-অন্নপূর্ণা জয়ের শংসাপত্র। তবু থেমে যাননি এভারেস্ট জয়ী পিয়ালী বসাক। আবারও প্রস্তুতি শুরু করেছেন পরবর্তী অভিযানের। মা স্বপ্না বসাক প্রয়াত হয়েছেন ১১ অক্টোবর। বাবা তপন বসাক বিছানায় শয্যাশায়ী। পিয়ালী নিজে অসুস্থ। দিল্লী এইমসে চিকিৎসা করাচ্ছেন।২০১৬ সালে একবার অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। ইউটেরাসে টিউমার আবার বড় হয়েছে। প্রচুর অর্থের প্রয়োজন রয়েছে।

নিজের স্টলে ব্যস্ত পিয়ালী

নিজের স্টলে ব্যস্ত পিয়ালী

থামবে না পর্বতারোহণ

ব্যক্তিগত জীবনে লড়াই জারি আছে পাশাপাশি পিয়ালীর পর্বতারোহণ থেমে থাকেনি। ২০১৮ সালে মানাসুলু, ২০২১ সালে ধবলগিরি, ২০২২ সালে এভারেস্ট ও লোৎসে জয়। ২০২৩ সালে এপ্রিম ও মে মাসে যথাক্রমে অন্নপূর্ণা ও মাকালু শৃঙ্গ জয় করেন পিয়ালী। পৃথিবীর সর্বচ্চ এভারেস্ট সহ মোট ছয়টা আট হাজারি শৃঙ্গ জয় পিয়ালীর ঝুলিতে। অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টের সব থেকে কাছে পৌঁছেছিলেন তিনি। এহেন কৃতিত্বের অধিকারী পর্বতারোহী কেন মেলায় স্টল দিলেন?

Table Tennis : মেয়ের প্র্যাকটিসে মায়ের ছিল ‘কড়া’ নজরদারি, টেবিল টেনিসে সোনা আনল পয়মন্তী
পিয়ালী কী বললেন?

পিয়ালী বলেন, অনেক পর্বতারোহী আছেন যাঁরা ঠিকমতো প্রশিক্ষণ নিতে পারেন না। অনেক ছাত্র-ছাত্রী যাঁরা পর্বতারোণে উৎসাহী তাঁরা অনেক কিছুই জিজ্ঞাসা করেন। আমি তাঁদের সরাসরি সেই বিষয়গুলো বলতে পারছি।
কম খরচে কী করে পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নেওয়া যায় সেটা সেটা জানাতে পারছি। পাহাড় কী ধরনের প্রতিকূলতা থাকে, তা জানা দরকার। নিজের সেফটির জন্য সেগুলো জানা প্রয়োজন। প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার করছি। তবে বিক্রির পরিমাণ খুব ভালো নয়। পিয়ালীর বোন তমালী বসাক বলেন, ‘চন্দননগর মেলায় দুটি আটশ টাকার জ্যাকেট বিক্রি হয়েছে। কিছু মানুষ আসছেন পর্বতারোহণে যাদের উৎসাহ আছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *