রবিবার সকালে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের সামনে এলাকার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর নামে একাধিক ছাপানো পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে লেখা, ‘টিকিট বিক্রির কাণ্ডারী সৌমিত্র খাঁ দূর হঠো’, ‘বিষ্ণুপুরের জনগণ বিরোধী সৌমিত্র নিপাত যাক।’ সৌমিত্র খাঁ-এর ছবি দিয়ে লেখা ‘১০ বছরের অবসান চাই, সৌমিত্র দালালের বিদায় চাই।’ সাংসদের জন্য একাধিক পঞ্চায়েত-বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে পোস্টারে। পোস্টারের নিচে লেখা, ‘বিষ্ণুপুরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন শিক্ষিত অনুশাসিত জনগণ।’
যদিও এই বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘আমি বছরের শেষদিনে খুব এনজয় করছি। যাঁরা করছেন, তাঁরা ভালো থাকবেন। কারণ বিজেপি বাংলায় ৩৫টি আসন পাবে, নিশ্চিন্ত থাকবেন। ভারতে রামমন্দির তৈরি হচ্ছে, আগামী বছরে সবাই ভালো তাকবেন, সকলকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা। এইসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করার নেই। বিষ্ণুপুর লোকসভায় বিজেপি ৩ লাখের বেশি ভোটে জিতবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
এদিকে এই পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলার রাজনীতিতে। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘কারা এইসব কাজ করছে, বিষ্ণুপুরের জনগণ জানে। রাতের অন্ধকারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা এইসব কাজ করছে।’ যদিও এই বিষয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী পালটা বলেন, টএদের (বিজেপির) এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, যার জেরে আজ শুনলাম ওই জায়গায় পোস্টার পড়েছে। আমাদের স্থির বিশ্বাস, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপির ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত চলছে। তারা বিজেদের ঘর বাঁচাতে পারছে না। তাই নিজেদের দোষ অপরের ঘাড়ে চাপাচ্ছে।’
এদিকে এদিনই শহর কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ ছেয়ে গিয়েছে নতুন এক পোস্টারে। সেই পোস্টারে লেখা বাংলায় বিকল্প রাজনীতি। তেরঙা পোস্টারে সবুজ রঙ দিয়ে লেখা রয়েছে ‘বাংলায়’ ও নীল রং দিয়ে লেখা রয়েছে ‘বিকল্প রাজনীতি’। বছরের শেষদিনের সকালে ওই পোস্টার ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে। পরে ওই একই লেখা দেখা যা কৌস্তভ বাগচীর ফেসবুক ওয়ালেও।