সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বছর শেষ হয়ে আসছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুড়ঙ্গের শেষে কোনও আলো নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাবল ডাবল চাকরির প্রতিশ্রুতি একটি নিষ্ঠুর রসিকতার মতো শোনাচ্ছে, যা বাংলার যুব সমাজের ভবিষ্যতের বিনিময়ে তৈরি করা হয়েছিল। ডাবল ডাবল চাকরি শুধুমাত্র একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্য সংরক্ষিত, যাঁরা নিজেদের কার্যকালে রাজ্যের স্বার্থের ওপরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা ও অভিলাষ পূরণের জন্য কাজ করেছেন। তাই তাঁদের অবসরের পরে ডাবল ডাবল চাকরি দেওয়া হয়।’
ওই পোস্টে রীতিমতো একটি তালিকা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। সেই তালিকায় মনোজ মালব্য ছাড়াও নাম রয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামদাস মীনা, হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অমিত মিত্র, গৌতম সান্যালের। এছাড়াও সেই পোস্টে রীনা মিত্র, উজ্জয়িনী দত্ত, রূপক দত্ত, এস কে থাড়ে, এ সুব্বাইয়া ও দেবাশিস সেনের নামও রয়েছে। সঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভাষণের ক্লিপিংও তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্যে চলছে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। সম্প্রতি এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের হাজার দিন পূর্ণ হয়েছে। সেই দিন মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানান এক চাকরি প্রার্থী। আবার আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরাও চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। নিয়োগ দুর্নীতিতে মামলা চলছে আদালতে। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক বিধায়ককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও দাবি পূরণ হচ্ছে না চাকরি প্রার্থীদের।
এদিকে দেখা গিয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। আবার হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী মুখ্যসচিব পদে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে অর্থ উপদেষ্টা পদে নিয়ে আসে রাজ্য।