Table Tennis : মেয়ের প্র্যাকটিসে মায়ের ছিল ‘কড়া’ নজরদারি, টেবিল টেনিসে সোনা আনল পয়মন্তী – hooghly hindmotor table tennis player poymonti baisya got gold medal in national tournament


মেয়ের অনুশীলনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, কড়া নজরদারি ছিল বাবার। ফলাফল মিলল হাতেনাতে। টেবিল টেনিসে সোনা জিতে আনলেন হিন্দমোটরের পয়মন্তী বৈশ্য। খুশির জোয়ার পরিবারে। অলিম্পিকে সোনা জয় করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করাই এখন পাখির চোখ পয়মন্তীর।

আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতা জয়

চলতি বছরের হরিয়ানার পঞ্চকুলায় আয়োজিত ৮৫ তম সিনিয়র জাতীয় আন্তঃরাজ্য টেবিল টেনিসের আসর বসেছিল। সেখানে মাত্র ২১ বছর বয়সে রেলের হয়ে খেলে সোনা জয় করলেন হিন্দমোটরের পয়মন্তী বৈশ্য। টেবিল টেনিসে জুনিয়র থেকে সিনিয়র একাধিক পুরস্কার পেয়েছে সে। অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত সহ একাধিক খেলোয়াড়কে হারিয়ে দেয় এই বঙ্গকন্যা। বর্তমানে খেলাধূলার পাশাপাশি রেলের চাকরিতে কর্মরত পয়মন্তী। এবারই প্রথম রেলওয়ে সিনিয়র টিমে খেলে সোনা জয় করে।

সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়ে অসাধারণ প্রতিভার জন্য এখন হুগলির গর্ব পয়মন্তী। তার আসা আগামীতে এশিয়ান গেমস ও অলিম্পিকে সোনা জয় করে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করবে।

শৈশব থেকেই খেলাধূলার প্রতি ছিল তাঁর আগ্রহ। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে হিন্দমোটরের একটি ক্লাবে টেবিল টেনিসে ভর্তি করে তার মা ভারতী বৈশ্য। বর্তমানে হিন্দমোটোর বিবেকানন্দ ক্লাব ও বালির CPCTT সেন্টারে কোচিং নিচ্ছেন অভিষেক মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর কাছে কোচিং করে চিন সহ একাধিক জায়গায় খেলে বহু পুরস্কার জিতেছে পয়মন্তী।

ভবিষ্যতে সিনিয়র ইন্ডিয়া টিমে খেলায় এখন মূল লক্ষ্য তাঁর। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত তার মা। কারণ ছোট থেকেই মেয়েকে কষ্ট করে বড় করে তুলেছেন। বাবা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করায় সেভাবে সময় দিতে পারতেন না মেয়েকে। বাড়ির একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মায়ের আশা অনেক। তাই সকালে উঠেই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যেতে হত প্র্যাকটিসে।

কী বললেন মা?

ভারতী দেবী জানান, পরিবারের সুদিন আশায় মেয়ের নাম রেখেছিলাম পয়মন্তী। পরিবারের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আমাদের আশাও রয়েছে অনেক। মেয়ে ছোট থেকেই অনেক পরিশ্রম করেছে, তার সঙ্গে আমিও তাকে সঙ্গ দিয়েছি । প্র্যাকটিসে গিয়ে যাতে ফাঁকি না দিতে পারে তার জন্য আমি তাঁর সঙ্গে গিয়েছি। তিনি বলেন, ‘আমি চাই আগামী দিনে মেয়ে অলিম্পিক গেমসে খেলুক। যদিও ইন্টারন্যাশনাল খেলতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই অতটা অর্থ জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, যদি কোনও সংস্থা এগিয়ে আসে তাহলে ভালো হয়।’

NASA: অ্যাসবেসটসের ঘর থেকে নাসা, কী ভাবে সাফল্য এসেছিল হুগলির গৌতমের জীবনে?
কী জানাল সোনার মেয়ে?

পয়মন্তী জানান, আগে সিনিয়র এ কোনদিনও মেডেল পায়নি, প্রথমবার মেডেল পেয়ে ভালো লাগছে। পাঁচ বছর বয়স থেকে খেলতে শুরু করি, প্রতিদিনই এক্সারসাইজ বা টেবিলে প্র্যাকটিস করি। ভবিষ্যতে সিনিয়র ইন্ডিয়া টিমে খেলতে পারি এবং দেশের জন্য যেন মেডেল আনতে পারি এটাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। প্রতিদিন টেবিলে চার ঘন্টা করে প্র্যাকটিস করি তোমাকে দু’ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করতে হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *