লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনে শান দিচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। এরই মধ্যে মোহন ভাগবতের কলকাতা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সরসংঘ প্রধানের কলকাতায় আসা নিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মোহন ভাগবত রাজ্যে বছরে কয়েকবার আসেন। সেই সময় বিশিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এটা সংঘের কাজের শৈলি।’
যদিও এই সমীকরণের এত সহজ উত্তর মিলিয়ে দিয়ে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। রবিবার সকাল সকাল ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে যান শিল্পী বিক্রম ঘোষের বাড়িতে। পরবর্তীতে তাঁর সংঘের সমন্বয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা।
ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘ প্রমুখের এই সাক্ষাৎ ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও অভিনেতার সঙ্গে বিজেপির অতীতেও যোগসূত্র ছিল। ১৯৯১ সাল, তখনও রাজ্যে সেভাবে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি তৈরি হয়নি। সেই সময় কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অর্থে রাজ্য বিজেপির প্রথম তারকা প্রার্থী তিনি।
শুধু তাই নয়, সংঘের সঙ্গেও ভিক্টরের সুক্ষ্ম যোগসূত্র ছিল অতীতে। সংঘের একটি সংগঠন সংস্কার ভারতীর রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এই অভিনেতা। যদিও পরবর্তীতে তাঁর পদ্ম শিবিরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ প্রায় ছিল না বললেই চলে।
এমনকী, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যখন ধারে ভারে রাজ্যে বাড়ছিল বিজেপি সেই সময় একঝাঁক তারকা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। সেই হিড়িকটা দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের আগেও। কিন্তু, দলের সেই ‘সুদিন’-এও কোথাও ছিলেন না ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।
রক্তবীজ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর এই সময় ডিজিটাল একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপি প্রসঙ্গে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করে। এই সময় ডিজিটাল-এর প্রশ্ন ছিল, ‘অতীতে বিজেপির সদস্য ছিলেন, বাংলায় এই দলের আশা দেখতে পান?’ উত্তরে এই বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেছিলেন, ‘না বাঙালিরা এখনও ওদের বনিয়া দল হিসেবে দেখে।’ তবে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও নরেন্দ্র মোদী স্বল্প মার্জিনে জিতবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মোদীকে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।